লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি; এবার লক্ষ্মীপুরে কলেজ ছাত্রী ফারহানা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শহরের শাখারীপাড়া এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত ফারহানা পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের আবদুর রহমান খানের মেয়ে।
তবে এ হামলার সাথে লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক এবং বিএমএর সভাপতি ডা: আশফাকুর রহমান মামুনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ফারহানা। হাসপাতাল সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, কলেজ ছাত্রী ফারহানা শহরের শাখারীপাড়া ছোটপুল এলাকায় সবিতা রাণী নামে এক ভিজিটরের বাসায় থেকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রী পরীক্ষা দিচ্ছিল। তিনি লক্ষ্মীপুরে সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর মা-মনি প্রকল্পের কর্মী ছিলেন। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আনোয়ার হোসেন জানান, আহত কলেজ ছাত্রী ফারহানাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পেটে ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, লক্ষ্মীপুরে কর্মরত অবস্থায় লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক ডা: আশফাকুর রহমান মামুনের সাথে তার সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত বছরের ২৭ডিসেম্বর ৩০ লাখ টাকা দেন মোহরে সিলেট এলাকার সুরমা ভ্যালী রেস্ট হাউজে ডা: ইমামুলের মধ্যস্থতায় ডা: আশফাকুর রহমান মামুনের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়া নিয়ে তার সাথে আমার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এছাড়া আমি মামুনের কাছে কাবিন নামা চাইলে সে আমাকে লক্ষ্মীপুরে না আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। আসলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন। সে আমাকে ভাড়াটিয়া দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন ফারহানা। ডা: আশফাকুর রহমান মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র ওই মহিলা নিজের শরীর কেটে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তবে এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন।