ঢাকা; শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী আজ। শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। গতকাল ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস পালিত হয়েছে। আজ হবে সপ্তমীবিহিত পূজা। গতকাল থেকে সারা দেশের মন্দির আর পূজামণ্ডপ ঢাকের বোল, মন্ত্র ও চন্ডীপাঠ, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে কেঁপে উঠেছে। আজ মহাসপ্তমীতে শাস্ত্রমতে ষোড়শ উপাচারে (ষোল উপাদানে) দেবীর পূজা হবে। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। মহাসপ্তমী শেষে আগামীকাল ৯ই অক্টোবর মহাঅষ্টমী। এ দিন সকালে কুমারীপূজা ও রাতে সন্ধিপূজা পালিত হবে। পর্যায়ক্রমে ১০ই অক্টোবর মহানবমী এবং ১১ই অক্টোবর বিজয়া দশমী, দর্পন ও প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আর মাত্র তিনটি দিবানিশি পেরুলেই মা ‘উমা’ দেবী ফিরবেন কৈলাশে। আজ মহাসপ্তমীতে দিনব্যাপি চন্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা অর্চনা, দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে উৎসবে-আনন্দে মেতে ওঠবে সবাই। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় পূজামন্ডপগুলোতে আরতি, ভক্তিমূলক সংগীত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। মহাসপ্তমীর মাধ্যমে দুর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ায় আজ থেকে পূজামণ্ডপগুলোতে ভক্তদের সংখ্যা বাড়বে বলে জানান আয়োজকরা। গতকাল থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালিমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালিমন্দির, শাঁখারীবাজার ও তাঁতীবাজার, ডেমরার দেইল্যা পূর্বপাড়া পূজামণ্ডপসহ সারাদেশের পূজামন্ডপগুলো ঝলমলে আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে ওঠেছে। শোনা গেছে চন্ডীপাঠ, উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসা, ঢাকের বোল আর জয় মা দুর্গা জয়ধ্বনি। নানা বয়সী নারী পুরুষ দলবেধে আসছেন পূজামণ্ডপগুলোতে। যেন মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে পূজামণ্ডপগুলো।
এদিকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গতকাল সকাল ১০টায় মন্দিরের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার রায়। তিনি বলেন, এবার ঢাকা মহানগরীতে ২২৯টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজার প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় ১৪দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। পূজার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে তারা আমাদের আশ্বস্থ করেছেন। শ্যামল কুমার রায় জানান, ঢাকা মহানগরীর সবকটি পূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের পাশাপাশি মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরাও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবেন। গতকাল ষষ্ঠীতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসে মানুষের ঢল নামে। দুপুরে দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরন, ভক্তিমূলক গানসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহাসপ্তমীর দিনে আজও ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা ও পুষ্পাঞ্জলীর পাশাপাশি ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামীকাল মহাষ্টমীতে ঢাকেশ্বরী মন্দির ও ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ মিশনসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঐতিহ্যবাহী কুমারী পূজা হবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হিসেবে এবার সারাদেশে ২৯ হাজার ৩৯৫টি স্থায়ী অস্থায়ী পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে পূজা উপলক্ষে সারদেশের মণ্ডপগুলোতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, আনসারদের পাশাপাশি পূজা আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
এদিকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গতকাল সকাল ১০টায় মন্দিরের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার রায়। তিনি বলেন, এবার ঢাকা মহানগরীতে ২২৯টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজার প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় ১৪দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। পূজার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে তারা আমাদের আশ্বস্থ করেছেন। শ্যামল কুমার রায় জানান, ঢাকা মহানগরীর সবকটি পূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের পাশাপাশি মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরাও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবেন। গতকাল ষষ্ঠীতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসে মানুষের ঢল নামে। দুপুরে দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরন, ভক্তিমূলক গানসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহাসপ্তমীর দিনে আজও ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা ও পুষ্পাঞ্জলীর পাশাপাশি ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামীকাল মহাষ্টমীতে ঢাকেশ্বরী মন্দির ও ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ মিশনসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঐতিহ্যবাহী কুমারী পূজা হবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হিসেবে এবার সারাদেশে ২৯ হাজার ৩৯৫টি স্থায়ী অস্থায়ী পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে পূজা উপলক্ষে সারদেশের মণ্ডপগুলোতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, আনসারদের পাশাপাশি পূজা আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।