গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই ব্যাংকার হলেন জনতা ব্যাংক ভবন করপোরেট শাখার ডিজিএম আজমুল হক ও এস এম আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তাঁরা দুজনই দুটি করে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
দুদক সূত্র প্রথম আলোকে গ্রেপ্তারের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে দুদকের দলটিতে ছিলেন উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী, এস এম রফিকুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন ও আহেরুজ্জামান।
সূত্র জানায়, বিসমিল্লাহ গ্রুপের প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, প্রাইম ব্যাংকের ডিএমডি মো. ইয়াছিন আলীসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ১২টি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার ৫৪ জন আসামির মধ্যে বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি, চেয়ারম্যানসহ ১৩ জন ১২ মামলাতেই আসামি। বাকি ৪১ জন বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা। দুদকের সে সময়ের উপপরিচালক (বর্তমানে পরিচালক) সৈয়দ ইকবাল হোসেন ও তাঁর দলের সদস্যরা রাজধানীর রমনা, মতিঝিল ও নিউমার্কেট থানায় এসব মামলা করেন।
আসামিদের মধ্যে বিসমিল্লাহ গ্রুপের রয়েছে ১৩ জন। ৪১ জন ব্যাংক কর্মকর্তার মধ্যে জনতা ব্যাংকের তিনটি শাখার ১২ জন, প্রাইম ব্যাংকের নয়জন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাতজন, যমুনা ব্যাংকের পাঁচজন এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের আট কর্মকর্তা রয়েছেন।
জনতা ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ গ্রুপের মোট ৩৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। ওই সব মামলার যে ১২ ব্যাংকার আসামি হয়েছেন, তাঁরা হলেন জনতা ব্যাংক ভবন করপোরেট শাখার জিএম ও শাখা ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম আজাদ, একই শাখার দুই ডিজিএম আজমুল হক ও এসএম আবু হেনা মোস্তফা কামাল, দুই এজিএম (রপ্তানি) অজয় কুমার ঘোষ ও ফায়েজুর রহমান ভুঁইয়া, রপ্তানি বিভাগের কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা (এসইও) সৈয়দ জয়নাল আবেদীন, ব্যাংকটির মগবাজার শাখার ব্যবস্থাপক রফিকুল আলম, দুই এসইও খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আতিকুর রহমান, এলিফ্যান্ট রোড শাখার এজিএম মোস্তাক আহমদ খান এবং এসইও এস এম শোয়েব-উল-কবীর।