ঢাকা; ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় তিন সপ্তাহের তীব্র উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পর দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। এতে দু’পক্ষই নিয়ন্ত্রণ রেখায় সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমন করতে সম্মত হয়েছেন। পাকিস্তানের জিও টিভিকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও পাকিস্তানি নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসির খান জানজুয়ার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ। ওদিকে পাকিস্তানের দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল অনুযায়ী, সারতাজ আজিজ বলেছেন নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন দু’কর্মকর্তাই। তবে পাকিস্তান যখন নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা প্রশমন করতে চায়, ভারত চায় তার বিপরীত। এর মাধ্যমে তারা কাশ্মীরের অসন্তোষ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় পাকিস্তান। কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখে নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা কমিয়ে আনতে চায়। ওদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এ সময় তিনি বিশ্বনেতাদের বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে সীমান্তের এই উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে। সরতাজ আজিজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে, কাশ্মীর ইস্যুর কোনো সমধান না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তের এই উত্তেজনা থেকেই যাবে।
সর্বদলীয় বৈঠকে নওয়াজ শরীফ: কাশ্মীর ইস্যুতে গতকাল সর্বদলীয় সংসদীয় বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। বৈঠকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো ‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে সরকারের পাশে একতাবদ্ধ অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছেন। শীর্ষ বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বৈঠক শেষে বলেছেন, ‘আমাদের মতপার্থক্য কাশ্মীর ইস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করুক এটা আমরা চাই না। প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি এটা পাকিস্তানের জন্য অনন্য একটা মুহূর্ত। দেশে একতাই পারে কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা এনে দিতে। আমরা সবাই এ বিষয়ে সম্মত হয়েছি।’ আরেক রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) নেতা ফারুক সাত্তারও একই দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমাবেশ করলেও গতকালের বৈঠকে দলটির নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশি একতাবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। সর্বদলীয় এই বৈঠকের এক দফা এজেন্ডা ছিল বাকি বিশ্বের কাছে একটি পরিষ্কার বার্তা পৌঁছে দেয়া। সেই বার্তাটি হলো- পাকিস্তান সরকার মনে করে নিয়ন্ত্রণ রেখায় আগ্রাসন ও ‘দখলীকৃত কাশ্মীরে’ নৃশংসতা চালাচ্ছে ভারত।
সীমান্তে ফের গুলিবিনিময়: গতকালও নতুন করে নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুদেশের সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আইএসপিআর। ডনসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর এলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতের কোনো গণমাধ্যমে সীমান্তে নতুন করে গুলিবিনিময়ের কোনো খবর আসেনি। ডনের খবরে আইএসপিআর-এর বরাতে বলা হয়, নেজাপির, কাইলের সেক্টর এবং ইফতিখারাবাদ শহরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় এসব গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ‘পাকিস্তানি সেনারা উস্কানিবিহীন ভারতীয় গোলাগুলির যথাযথ জবাব দিয়েছে’ বলে উল্লেখ করে আইএসপিআর। কোনো পক্ষে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাক্যাম্পে হামলা, নিহত ১: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বারামুল্লাহতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হামলায় এক বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ফের এমন ঘটনা ঘটলো। এর আগে এই বারামুল্লাহ জেলারই উরি সেনা ছাউনিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৯ ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হয়। এরপর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বারামুল্লাহর সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হুসেইন জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় এক বিএসএফ জওয়ান নিহত এবং অপর এক সদস্য আহত হন। এ খবর দিয়েছে, বিবিসি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোদিকে কেজরিওয়ালের স্যালুট: পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এক ভিডিও বার্তায় মোদিকে স্যালুট জানিয়েছেন তিনি। টুইটারে প্রকাশ করা ওই ভিডিওতে কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ইচ্ছাশক্তির পরিচয় দিয়েছেন সেজন্য আমি তাকে স্যালুট জানাই। এছাড়াও, পাকিস্তানের নোংরা প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে একইরকম পাল্টা জবাব দেয়ার আহ্বান জানাই আমি।’
সর্বদলীয় বৈঠকে নওয়াজ শরীফ: কাশ্মীর ইস্যুতে গতকাল সর্বদলীয় সংসদীয় বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। বৈঠকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো ‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে সরকারের পাশে একতাবদ্ধ অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছেন। শীর্ষ বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বৈঠক শেষে বলেছেন, ‘আমাদের মতপার্থক্য কাশ্মীর ইস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করুক এটা আমরা চাই না। প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি এটা পাকিস্তানের জন্য অনন্য একটা মুহূর্ত। দেশে একতাই পারে কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা এনে দিতে। আমরা সবাই এ বিষয়ে সম্মত হয়েছি।’ আরেক রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) নেতা ফারুক সাত্তারও একই দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমাবেশ করলেও গতকালের বৈঠকে দলটির নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশি একতাবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। সর্বদলীয় এই বৈঠকের এক দফা এজেন্ডা ছিল বাকি বিশ্বের কাছে একটি পরিষ্কার বার্তা পৌঁছে দেয়া। সেই বার্তাটি হলো- পাকিস্তান সরকার মনে করে নিয়ন্ত্রণ রেখায় আগ্রাসন ও ‘দখলীকৃত কাশ্মীরে’ নৃশংসতা চালাচ্ছে ভারত।
সীমান্তে ফের গুলিবিনিময়: গতকালও নতুন করে নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুদেশের সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আইএসপিআর। ডনসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর এলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতের কোনো গণমাধ্যমে সীমান্তে নতুন করে গুলিবিনিময়ের কোনো খবর আসেনি। ডনের খবরে আইএসপিআর-এর বরাতে বলা হয়, নেজাপির, কাইলের সেক্টর এবং ইফতিখারাবাদ শহরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় এসব গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ‘পাকিস্তানি সেনারা উস্কানিবিহীন ভারতীয় গোলাগুলির যথাযথ জবাব দিয়েছে’ বলে উল্লেখ করে আইএসপিআর। কোনো পক্ষে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাক্যাম্পে হামলা, নিহত ১: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বারামুল্লাহতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হামলায় এক বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ফের এমন ঘটনা ঘটলো। এর আগে এই বারামুল্লাহ জেলারই উরি সেনা ছাউনিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৯ ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হয়। এরপর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বারামুল্লাহর সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হুসেইন জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় এক বিএসএফ জওয়ান নিহত এবং অপর এক সদস্য আহত হন। এ খবর দিয়েছে, বিবিসি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোদিকে কেজরিওয়ালের স্যালুট: পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এক ভিডিও বার্তায় মোদিকে স্যালুট জানিয়েছেন তিনি। টুইটারে প্রকাশ করা ওই ভিডিওতে কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ইচ্ছাশক্তির পরিচয় দিয়েছেন সেজন্য আমি তাকে স্যালুট জানাই। এছাড়াও, পাকিস্তানের নোংরা প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে একইরকম পাল্টা জবাব দেয়ার আহ্বান জানাই আমি।’