গ্রাম বাংলা ডেস্ক:বিপুল সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো ঈদুল আজহার ১৮৭তম জামাত। সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত জামাতে ইমামতি করেন, বাংলাদেশ ওলামা-মাশায়েখ সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসঊদ। ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতে দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করে। ঈদ জামাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। জামাতকে কেন্দ্র করে নেয়া হয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও র্যাব সদস্যের কঠোর নিরাপত্তা ও নজরদারিতে শন্তিপূর্ণভাবে নামাজ শেষ হয়। মাঠের চারপাশে বসানো হয় নিরাপত্তা চৌকি। পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো ছাড়াও বিভিন্ন প্রবেশ পথে মেটালডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের দেহ তল্লাশি করা হয়। ভোর থেকেই ঈদুল অজহার নামাজ পড়তে দেশের বিভিন্ন জেলা হাজার হাজার মুসুল্লির ঢল নামে জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরের এ ঈদগাহ মাঠে। ঈদগাহমুখি সব রাস্তাঘাট মুসল্লিদের দখলে চলে যাওয়ায় কয়েক ঘণ্টার জন্য এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদুল ফিতরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৪ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করলেও ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিতে হয় বলে দূর দূরান্তের মুসল্লিরা সাধারণত এই ঈদে আসতে চান না। যে কারণে ঈদুল আযহার জামাতে মুসল্লির সংখ্যা অনেক কমে যায়। তারপরও শোলাকিয়া ময়দানে আজ সোমবার দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জামাতে পরিবহন, যোগাযোগ সচিব ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএএন সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক এসএম আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আজিজুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামালসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ঈদের নামাজ আদায় করেন।