জাহিদুর রহমান বকুল, মনোয়ার হোসেন রণি, ডাঃ বোরহান উদ্দিন অরণ্য, মীর আলিমুজ্জামান, মোস্তফা কামাল, ফাহিমা নূর, শারমিন সরকার, মোঃ জাকারিয়া ও মুক্তিযাদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমান
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম ঢাকা: বছর ঘুরে আবার এলো পবিত্র ঈদুল আজহা। আজ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ এ উপমহাদেশে উদযাপিত হবে বৃহৎ এই উৎসব। মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় এ উৎসবে ত্যাগ আর কুরবানির শিক্ষা জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে প্রতিফলনের ডাক দিয়ে যায়। হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আদর্শ অনুসরণে সারা বিশ্বের মুসলমনরানরা প্রতি বছর আত্মত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পালন করছে ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাঈল (আঃ)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন হযরত ইব্রাহিম (আঃ)। এভাবে আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালবাসা, আনুগত্য ও আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেছেন তা অতুলনীয়। তার আদর্শ অনুসরণে ১০ই জিলহজ ঈদুল আজহা পালিত হয়। সামর্থবান প্রত্যেক মুসলমান পশু কোরবানি দেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আলাদা বাণীতে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়াও সরকার ও বিরোধী দলের সিনিয়র রাজনীতিক, বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা মহান আল্লাহর প্রতি অপরিসীম আনুগত্য ও ভালবাসার এক অনুপম নিদর্শন। পরমতসহিষ্ণুতা, সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখার মাধ্যমে শান্তি সমপ্রীতিময় বিশ্বসমাজ গঠন করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন জাতিতে জাতিতে ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতাসহ অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা। ঈদুল আজহার মর্মবাণী আমাদের সেই শিক্ষা দেয়। ত্যাগের মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বিভেদ বৈষম্যহীন সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানান।
ওদিকে হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-ক্রোধ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় নিজেকে আত্মনিবেদিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য চলছে। মানুষের জান, সহায়-সম্পদের কোন নিরাপত্তা নেই। দেশের বর্তমান অবস্থায় সকলের পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে না। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি দরিদ্র ও কম আয়ের মানুষকে চরম দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পানি, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের তীব্র সংকট জনজীবনে দুর্বিসহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হ্চ্েছ। গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধির তোড়জোড় চলছে। যে কোন মুহূর্তে সাধারণ মানুষের ওপর দাম বৃদ্ধির বোঝা চাপানো হবে। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখার আহবান জানান তিনি।
ঈদ উপলক্ষে সকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকমী, পেশাজীবী ও সাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।