সম্পাদকীয়: চিরবিদায় কিছুটা রাজনীতিমুক্ত হচ্ছে

Slider জাতীয় বাধ ভাঙ্গা মত সম্পাদকীয়

 

14390986_1791973471046092_6054093667411556712_n

 

 

 

 

কেউ প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী বা এমপি হয়ে জন্ম নেয় না। জন্মের পর ওই সকল পদ লাভ করা হয়। যতক্ষন দেহে প্রাণ থাকে ততক্ষন পদের প্রভাব থাকে। যখন প্রাণ না থাকে তখন  সকল প্রভাব  স্মৃতি  আকারে অসহায় হয়ে যায়। মহাপরাক্রমশালী কেউ মারা গেলেও তাকে মৃত বা স্বর্গীয় বলা হয়। কোন পুরুষ মারা গেলে ধর্মীয় মতে তার স্ত্রীর আবরণে কিছু পরিবর্তন আসে। ওই পরিবর্তন তখন রীতিতে পরিনত হয়, যা থেকে আর বের হওয়া যায় না। জীবিত ও মৃত মানুষের এই পরিবর্তনকে আমরা স্বীকার করি বা নাই করি এটাই বাস্তব। তাই জীবিত ও মৃতকে এক মনে করে রাজনৈতি আচরণ অমানবিক ও দৃষ্টিকুটু। এটা চিরন্তন সত্য।

আমাদের রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির  কবল থেকে মৃত মানুষও রেহাই পাচ্ছেন না। তবে অতিসম্প্রতি এই সংস্কৃতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির অবনতি মানে সংস্কৃতির উন্নতি। এটা নিঃসন্দেহে আশার সঞ্চার করেছে। আমরা চাই মৃত মানুষকে নিয়ে অপরাজনৈতিক সংস্কৃতির অবসান হউক। না হয় সংস্কৃতি শব্দটির অর্থ রাজনীতির ক্ষেত্রে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

ইদানিং আমরা খুশি হতে শুরু করেছি আমাদের রাজনৈতিক দল ও নেতাদের সাম্প্রতিক কিছু আচরণে। কিছুদিন পূর্বে বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল মারা গেলেন। পটলের জানাযায় বিএনপি ও আওয়ামীলীগ সহ অনেক রাজনৈতিক দলের প্রথম কাতারের নেতাদের দেখা গেছে। এটা ভালো উদ্যোগ ও উন্নতি। কিন্তু যখন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক মারা গেলেন তখন সরকার বিরোধীরা শোক প্রকাশও করেননি। এটা দুঃখ জনক। আবার বিএনপির সিনিয়র নেতা আ স ম হান্নান শাহর জানাযায় সরকারী দলের সিনিয়র নেতাদের দেখা গেছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতিও শোক প্রকাশ করেছেন। হান্নান শাহর জানাযায় জাতীয় থেকে তৃনমূল পর্যন্ত সকল দলের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। এটা রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নতি ও অপসংস্কৃতির অবনতি। আমরা চাই অপসংস্কৃতি নিপাত যাক।

জাতি আশা করে, সকল মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর দল মত নির্বিশেষে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ শেষ বিদায় দিবেন। ফলে আজ যারা বিদায় দিবেন তারা এমনিভাবে বিদায় পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *