হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নানের বরাত দিয়ে শামসুদ্দিন বলেন, আজ মঙ্গলবার ভোরে র্যাফেলস হার্ট সেন্টার হাসপাতালের মারা যান বিএনপির এই নেতা। তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আগামীকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে হান্নান শাহের মরদেহ ঢাকায় আসবে। এরপর মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মহাখালী ডিওএইচএসের জামে মসজিদে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা হবে। বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বাদ জোহর তৃতীয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চতুর্থ জানাজা হবে। এরপর লাশ আবার সিএমএইচের হিমঘরে নেওয়া হবে। আগামী শুক্রবার গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠে হান্নান শাহের পঞ্চম জানাজা হবে। এরপর কাপাসিয়া উপজেলায় দুটি জানাজা হবে। সেখানেই নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহের দাফন সম্পন্ন হবে।
৬ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে তাঁর হৃদ্যন্ত্রের অস্ত্রোপচারও করা হয়।
হান্নান শাহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। অবসরের পর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি সাংসদ ছিলেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন থাকার সময় পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।