ঢাকা; সব আশঙ্কা উড়িয়ে জিতেই মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ। তামিমের ব্যাটিং, তাসকিনের বোলিং আর সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ওভার পর্যন্ত উত্তেজনায় দুলতে থাকা জয়ে খুশি নন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। খেলার পরে টিভিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে সবার সামনেই স্বীকার করলেন যেভাবে খেলেছে তার দল তা মোটেও প্রত্যাশিত ছিল না। বাংলাদেশ দলের ধুকতে থাকার জন্য কোন অজুহাত দেখাতে চাননি তিনি। প্রায় ১০ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে বাংলাদেশ দলকে খানিকটা অগোছালো দেখা যায়। এলোমেলো ব্যাটিংয়ের পরে ফিল্ডিংয়েও অনেক দৈন্যতা ফুটে ওঠে। তবে শেষ দিকে পেসারদের নৈপুণ্যেই জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ। ১০ উইকেটের সাতটিই নেন পেসাররা। আর এতেই রকেট ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শুরুতে উইকেট নিয়ে আর রান কম দিয়ে স্পিনার সাকিব বাংলাদেশকে খেলাায় ফেরান। আর পরের দিকে তাসকিন আহমেদ, মাশরাফি আর রুবেল আফগানদের সকল প্রতিরোধ ভেঙে দেন। বাংলাদেশের ৫০ ওভারে করা ২৬৫ রানের জবাবে আফগানিস্তানও ঠিক ৫০ ওভারে অলআউট হয় ২৫৮ রানে। ৪৮ রান আর দুই উইকেট নেয়ার সুবাদে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন সাকিব আল হাসান। তিনি ১০ ওভারে রানও দেন সবার কম মাত্র ২৬। ২৪ বলে যখন আফগানদের দরকার ২৮ রান তখন ৪৭তম ওভারে সাকিব মাত্র এক রান দিয়ে চাপে ফেলেন সফরকারীদের। এ দুই উইকেট সাকিব এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি। আবদুর রাজ্জাকের ২০৭ উইকেট টপকে যান তিনি। আর টেস্ট ও টি-২০ ক্রিকেটে তিনি আগেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক। বিশ্বে আর কোন দেশে তিন ফরমেটেই বেশি উইকেটের মালিক একজন নন। এর আগে তামিম ইকবালের ৮০, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৬২ আর সাকিব আল হাসানের ৪৮ বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়। তাসকিন ৫৯ রানে নেন চার উইকেট। মাশরাফি দুটি নেন ৪২ রানে। রকেট ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় খেলা বুধবার আর শেষ খেলা শনিবার।
১৮ বলে আফগানিস্তানের দরকার ছিল ২৭ রান। হাতে তখনও তাদের পাঁচ উইকেট। ৪৮তম ওভারে তাসকিন দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণভাবে খেলায় ফেরান। ১২ বলে তখন টার্গেট দাঁড়ায় ২১ রান। ৪৯তম ওভারে রুবেল হোসেনও বেশ চাতুর্যের সঙ্গে বল করে আটকে রাখেন আফগানদের রানের চাকা। ৫ বলে আট রান দিলেও শেষ বলে বিদায় করেন রশিদ খানকে। এতে ৬ বলে আফগানিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রান। এবার শেষের নায়ক হয়ে যান নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা তাসকিন। তিনি রানও দেন ৫ আর তুলে নেন দুই উইকেট। এতেই তীরে এসে ডুবে আফগানিস্তানের তরী। আফগানিস্তান তাদের শেষ ছয় উইকেট হারায় মাত্র ২৬ রানে।
তৃতীয় উইকেটে ১৪৪ রানের জুটি গড়ে সফরকারী আফগানিস্তানকে জয়ের আশা দেখান রহমত শাহ ও হাসমতুল্লাহ শহীদ। ১৯০ রানের সময় এ জুটিকে বিচ্ছিন্ন করেন সাকিবই। ৯৩ বলে ৭১ রান করে ক্রিজ ছেড়ে হাঁকাতে গিয়ে স্টাম্পড হন রহমত শাহ। এরপর লেগ স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৭২ রান করা হাসমতউল্লাহকে ফেরান। ২১০ রান তখন দলের। ক্যাচ ছাড়ার ম্যাচে সৌম্য সরকার আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দুটি ভাল ক্যাচও নেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকিয়ে টাইগার সমর্থকদের বুকে কাঁপন ধরান শেহজাদ। তবে পরের বলেই আঘাত হানেন মাশরাফি। ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ মাশরাফির ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শেহজাদ। ২১ বলে ৩১ রান করেন এ আফগান মারকুটে ওপেনার। পরের ওভারে ভেলকি দেখান স্পিন তারকা সাকিব আল হাসান। আফগান ওপেনার সাবির নূরকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। এতে ৭.৩ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৬/২-এ।
মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর প্রথম ওভারেই উইকেট খোয়ান বাংলাদেশ ওপেনার সৌম্য সরকার। আফগান পেসার দৌলত জাদরানের ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে পুল করতে যান সৌম্য। ব্যাট-বলে সময়ের হেরফেরে মিড উইকেট অঞ্চলে সাবির নূরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে ইমরুল গড়েন ৮৩ রানের জুটি । ব্যক্তিগত ৩৭ রানে উইকেট খোয়ান ইমরুল কায়েস। ৫৩ বলের ইনিংসে ৬টি চারের মার ছিল ইমরুলের। আফগান অফস্পিনার মোহাম্মদ নবীর এক ডেলিভারি ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ইমরুল। এদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯০০০ রান পূর্ণ হয় তামিম ইকবালের। আফগানিস্তানকে মোকাবিলার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরমেটে তামিম ইকবালের সংগ্রহটা ছিল ৮৯৮৫। টেস্টে ৩১১৮, ওয়ানডে ৪৭১৩ ও টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবালের সংগ্রহ ১১৫৪ রান। বাংলাদেশের সর্বশেষ ওয়ানডেতে গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। গতকাল মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ খেলতে থাকা স্টাইলিশ ওপেনার তামিম ইকবাল উইকেট দেন ব্যক্তিগত ৮০ রানে। ৯৮ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ৯টি বাউন্ডারি। ১৫৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তামিমের ৩৩তম অর্ধশতক। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বাধিক অর্ধশতকের রেকর্ড তামিমেরই। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৩০ ফিফটি রয়েছে সাকিব আল হাসানের। ওয়ানডেতে টানা অর্ধশতক হাঁকালেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। ৬৫ রান করেন বাংলাদেশ দলের এ চার নম্বর ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ ওয়ানডেতে গত নভেম্বরে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। ১২৬ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহর এটি ১৫তম অর্ধশতক।
ওয়ানডেতে ৪০০০ রানের ল্যান্ডমার্ক থেকে সামান্যই দূরে ছিলেন মুশফিকুর রহীম। তবে অপেক্ষা বাড়লো বাংলাদেশের এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মুশফিকের সংগ্রহ ছিল ৩৯২০। গতকাল ৬ রান করেন মুশফিক। ফর্ম দেখা গেল না সাব্বির রহমানেরও। প্রস্তুতি ম্যাচে ৯ রানের পর সংগ্রহ ২। তবে গতকাল রান পান সাকিব আল হাসান। বড় শট হাঁকাতে গিয়ে উইকেট খোয়ানোর আগে ৪৮ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। ৪০ বলের হিসেবি ইনিংসে সাকিব হাঁকান মাত্র তিনটি চার।
১৮ বলে আফগানিস্তানের দরকার ছিল ২৭ রান। হাতে তখনও তাদের পাঁচ উইকেট। ৪৮তম ওভারে তাসকিন দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণভাবে খেলায় ফেরান। ১২ বলে তখন টার্গেট দাঁড়ায় ২১ রান। ৪৯তম ওভারে রুবেল হোসেনও বেশ চাতুর্যের সঙ্গে বল করে আটকে রাখেন আফগানদের রানের চাকা। ৫ বলে আট রান দিলেও শেষ বলে বিদায় করেন রশিদ খানকে। এতে ৬ বলে আফগানিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রান। এবার শেষের নায়ক হয়ে যান নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা তাসকিন। তিনি রানও দেন ৫ আর তুলে নেন দুই উইকেট। এতেই তীরে এসে ডুবে আফগানিস্তানের তরী। আফগানিস্তান তাদের শেষ ছয় উইকেট হারায় মাত্র ২৬ রানে।
তৃতীয় উইকেটে ১৪৪ রানের জুটি গড়ে সফরকারী আফগানিস্তানকে জয়ের আশা দেখান রহমত শাহ ও হাসমতুল্লাহ শহীদ। ১৯০ রানের সময় এ জুটিকে বিচ্ছিন্ন করেন সাকিবই। ৯৩ বলে ৭১ রান করে ক্রিজ ছেড়ে হাঁকাতে গিয়ে স্টাম্পড হন রহমত শাহ। এরপর লেগ স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৭২ রান করা হাসমতউল্লাহকে ফেরান। ২১০ রান তখন দলের। ক্যাচ ছাড়ার ম্যাচে সৌম্য সরকার আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দুটি ভাল ক্যাচও নেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকিয়ে টাইগার সমর্থকদের বুকে কাঁপন ধরান শেহজাদ। তবে পরের বলেই আঘাত হানেন মাশরাফি। ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ মাশরাফির ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শেহজাদ। ২১ বলে ৩১ রান করেন এ আফগান মারকুটে ওপেনার। পরের ওভারে ভেলকি দেখান স্পিন তারকা সাকিব আল হাসান। আফগান ওপেনার সাবির নূরকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। এতে ৭.৩ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৬/২-এ।
মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর প্রথম ওভারেই উইকেট খোয়ান বাংলাদেশ ওপেনার সৌম্য সরকার। আফগান পেসার দৌলত জাদরানের ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে পুল করতে যান সৌম্য। ব্যাট-বলে সময়ের হেরফেরে মিড উইকেট অঞ্চলে সাবির নূরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে ইমরুল গড়েন ৮৩ রানের জুটি । ব্যক্তিগত ৩৭ রানে উইকেট খোয়ান ইমরুল কায়েস। ৫৩ বলের ইনিংসে ৬টি চারের মার ছিল ইমরুলের। আফগান অফস্পিনার মোহাম্মদ নবীর এক ডেলিভারি ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ইমরুল। এদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯০০০ রান পূর্ণ হয় তামিম ইকবালের। আফগানিস্তানকে মোকাবিলার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরমেটে তামিম ইকবালের সংগ্রহটা ছিল ৮৯৮৫। টেস্টে ৩১১৮, ওয়ানডে ৪৭১৩ ও টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবালের সংগ্রহ ১১৫৪ রান। বাংলাদেশের সর্বশেষ ওয়ানডেতে গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। গতকাল মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ খেলতে থাকা স্টাইলিশ ওপেনার তামিম ইকবাল উইকেট দেন ব্যক্তিগত ৮০ রানে। ৯৮ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ৯টি বাউন্ডারি। ১৫৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তামিমের ৩৩তম অর্ধশতক। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বাধিক অর্ধশতকের রেকর্ড তামিমেরই। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৩০ ফিফটি রয়েছে সাকিব আল হাসানের। ওয়ানডেতে টানা অর্ধশতক হাঁকালেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। ৬৫ রান করেন বাংলাদেশ দলের এ চার নম্বর ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ ওয়ানডেতে গত নভেম্বরে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। ১২৬ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহর এটি ১৫তম অর্ধশতক।
ওয়ানডেতে ৪০০০ রানের ল্যান্ডমার্ক থেকে সামান্যই দূরে ছিলেন মুশফিকুর রহীম। তবে অপেক্ষা বাড়লো বাংলাদেশের এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মুশফিকের সংগ্রহ ছিল ৩৯২০। গতকাল ৬ রান করেন মুশফিক। ফর্ম দেখা গেল না সাব্বির রহমানেরও। প্রস্তুতি ম্যাচে ৯ রানের পর সংগ্রহ ২। তবে গতকাল রান পান সাকিব আল হাসান। বড় শট হাঁকাতে গিয়ে উইকেট খোয়ানোর আগে ৪৮ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। ৪০ বলের হিসেবি ইনিংসে সাকিব হাঁকান মাত্র তিনটি চার।