এ সম্পর্কিত জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদে শত শত মানুষ মারা যাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয়। আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে ১৫৩ জন মারা গেছেন। তারপরও বলব, এটা অনেক প্রাণ। আমি তো বলেছি মাছির মতো, পাখির মতো মানুষ মারা গেছে।’
চলতি বছরের প্রথম আট মাসের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বুয়েটের একটি জরিপে বলা হয়েছে, এ বছর প্রথম আট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। কিন্তু ঈদের সময় হঠাৎ করে সড়কে মৃত্যুর মিছিল দেখা গেছে। আমি অবাক বিস্ময় হয়ে দেখলাম যে সড়ক দুর্ঘটনায় এই প্রাণহানি। তবে ঈদের পর দুর্ঘটনার হার কমে এসেছে।’
এ বিষয়ে কাজী ফিরোজ রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আমরা কঠোর শাস্তির বিধান করে আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। আইনে পরিবার প্রতি গাড়ি সীমিত করার বিধান হচ্ছে। দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী হবে, তাদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। আজ সংসদে আইন উঠছে। আশা করি, আগামী অধিবেশনে এটা পাস করতে পারব।
প্রশ্ন করতে গিয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘দুর্ঘটনায় যে শত শত লোক মারা যাচ্ছে, তার জন্য দায়ী কে জানি না। কেউ বলে চালকের দোষ। চালকেরা বলেন রাস্তার দোষ। আবার বলা হয় জনগণের দোষ। আমরা দেখি গাড়ির ফিটনেস নেই, ব্রেক নেই, লাইসেন্সও নেই।’
ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রবণ ২২৭টি স্থান (ব্ল্যাক স্পট) চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮টি ব্ল্যাক স্পটের প্রতিকারমূলক কাজ আগেই সম্পন্ন হয়েছে। জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৫টি ব্ল্যাক স্পটের প্রতিকারমূলক কাজ শুরু হয়েছে। অবশিষ্ট ১৪৪টির প্রতিকারমূলক কাজের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪৮টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি ৭০টি চলতি অর্থবছরে সম্পন্ন হবে।
নাভানা আক্তারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি নাগাদ পদ্মা সেতুর কার্যক্রম সারা জাতির কাছে দৃশ্যমান হবে।