আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কিছু বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চলে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা, গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পর থেকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝাউদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান কেরামত আলীর সমর্থকদের সঙ্গে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার হোসেনের সমর্থকদের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে তিনটি গ্রামে তিনবার সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ সকাল ছয়টার দিকে কেরামত আলীর কাশিনাথপুর, বৈদ্যনাথপুর ও ঝাউদিয়া গ্রামের সমর্থকেরা জোট বেঁধে মাছপাড়া গ্রামে ঢোকে। সেখানে বখতিয়ার হোসেনের সমর্থকেরা তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ইমান আলী ফলাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয় লোকজন বলছেন, নিহত ইমান আলী কেরামত আলী সমর্থক ছিলেন। শাহাবুদ্দিনের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় গ্রামের ২০-২২টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চলে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রুহুল আমিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাবুদ্দিনের মারা যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ বিশ্বাস জানান, ইমান আলীর লাশ ঘটনাস্থলে আছে। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।