বরিশাল; বানারীপাড়া উপজেলায় সন্ধ্যা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় আজ শুক্রবার আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে উদ্ধার হলো ২৬ জনের মরদেহ।
আজ বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল আহসান বলেন, সকাল আটটার দিকে সন্ধ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় দুই নারী ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ওই ট্রলারডুবির ঘটনায় ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এর মধ্যে বুধবার ট্রলারডুবির পর ১৩ জন, বৃহস্পতিবার ডুবে থাকা ট্রলার থেকে চারজন, রাতে ভাসমান অবস্থায় ছয়জন এবং আজ সকালে আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়।
আজ সকালে উদ্ধার তিন মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার ইন্দেরহাট গ্রামের আলপনা রানি (২৫), সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের পশ্চিম জিরাকাঠি গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৩৫) এবং উজিরপুর উপজেলার কেশবকাঠি গ্রামের মো. জিদান (৮)।
বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া ছয় লাশেরও পরিচয় মিলেছে। তাঁরা হলেন সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের মো. মজিদ (৬৫), মো. রুহুল আমীন (৩০), মাফিয়া (৩), উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের হামিদা বেগম (৪০), সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের জিরাকাঠি গ্রামের খুকুমনি (২৫) এবং বানারীপাড়া উপজেলা মহিষাকোটা গ্রামের বেল্লাল হোসেন (৩০)।
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে এমবি ঐশী নামে অবৈধভাবে পরিচালিত ট্রলারটি প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে উজিরপুর উপজেলার হারতার ইউনিয়নের দিকে যাচ্ছিল। আধা ঘণ্টা চলার পর উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের দাসেরহাট ঘাটে যাত্রী নামাতে তীরের দিকে যেতে থাকে ট্রলারটি। ওই সময় নদীর পাড় ভেঙে পড়ায় তীরের কাছাকাছি থাকা ট্রলারটি ডুবে যায়। অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ হন ২৮ যাত্রী।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল আহসান বলেন, উদ্ধার হওয়া সব মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।