বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে লোক নেবে বলে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পুলিশ বাহিনীতে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৫০০ জন পুরুষ কনস্টেবল ও ১ হাজার ৫০০ জন নারী কনস্টেবল।
আগ্রহী প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ লাইনস ময়দানে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর শারীরিক মাপ ও পরীক্ষার জন্য উপস্থিত থাকতে হবে। তাই যাঁরা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে কাজ করে জননিরাপত্তা ও দেশসেবা করতে চান, তাঁরা নিতে পারেন এ সুযোগটি।
আবেদনের যোগ্যতা :
কনস্টেবল পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ সহ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি শারীরিক যোগ্যতাও থাকতে হবে। শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে সাধারণ ও অন্যান্য কোটার পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে। আর বুকের মাপ পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। বয়স হতে হবে ৩১-০৮-২০১৬ তারিখে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতীয় কোটার ক্ষেত্রে শারীরিক যোগ্যতা ও বয়সের ভিন্নতা রয়েছে। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে।
নিয়োগপ্রক্রিয়া ও নির্বাচন:
প্রতিটি জেলার জেলা পুলিশ সুপারের সভাপতিত্বে একটি নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিজ্ঞপ্তিটিতে উল্লিখিত নির্ধারিত সময় ও স্থানে উপস্থিত থেকে প্রার্থীদের প্রথমে শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। এরপর শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্ধারিত তারিখে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষা প্রসঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান থেকে লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে। তাঁর মতে, লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যবইগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীদের ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। উত্তীর্ণ হতে হলে উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। প্রাথমিকভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের জেলার পুলিশ সুপার কর্তৃক সরবরাহকৃত আবেদন ফরম পূরণ করে ৩ কপি সত্যায়িত ছবিসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও পরীক্ষা ফি বাবদ ১০০ টাকার ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে চালানের কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হবে। পরে এসব প্রার্থীদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে যোগদানের পর পুলিশ হেড কোয়াটার্সের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত পুনরায় বাছাই কমিটি কর্তৃক অন্যান্য তথ্যাদি যাচাইয়ের পর তাঁদের চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রশিক্ষণ:
পুলিশের প্রশিক্ষণের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণকেন্দ্র আছে। মনোনীত প্রার্থীদের প্রথমে নির্ধারিত প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে হবে। এ প্রশিক্ষণকালীন সময়ে প্রার্থীরা বিনা মূল্যে পোশাক সামগ্রী, থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা সুবিধাসহ প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা পাবেন।