কার্গো বিমান ও হেলিকপ্টার নিয়ে গঠন হচ্ছে পুলিশের ‘এভিয়েশন ইউনিট’

Slider বাংলার মুখোমুখি বাংলার সুখবর

file

 

ঢাকা; আকাশ, নৌ ও স্থলপথে কঠোর নজরদারির জন্য ১টি কার্গো বিমান ও ২টি হেলিকপ্টার নিয়ে গঠন হচ্ছে ‘পুলিশের এভিয়েশন’ ইউনিট নামে নতুন একটি শাখা। গত ২১শে জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পুলিশের একটি প্রতিবেদনে ওই এভিয়েশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। এর আগে মে মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের  মাসিক সভায় বিষয়টি আলোচনা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই ইউনিট গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শিগগিরই ইউনিটটির কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশের ডিআইজি (মিডিয়া) একেএম শহিদুর রহমান।
পুলিশের হেডকোয়ার্টারের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ পুলিশের অস্ত্র, রসদসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় পাঠানোর জন্য পুলিশের নিজস্ব ও ভাড়া করা যানবাহন ব্যবহার করা হয়। এতে অধিক সময় এবং অর্থের অপচয় হয়ে থাকে। এছাড়াও পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ রসদগুলো দেশের বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় পাঠাতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। দেশের কোনো স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ওই ঘটনাস্থল তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করার জন্য আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্য বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করে থাকেন। সময়ের হিসাব মিলে গেলে বিভিন্ন কোম্পানির যাত্রীবাহী প্রাইভেট বিমান ব্যবহার করেন। তবে অনেক সময় তারা শিডিউল পান না। তখন তারা ঘটনাস্থলে যেতে পারেন না। তাৎক্ষণিক ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারেন না। এতে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন তারা। ওই ইউনিট গঠন হলে পুলিশের কাজে আরো অধিক গতি আসবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, বিভিন্ন পণ্যবাহী একটি কার্গো বিমান এবং পাইলটসহ ৭ জন বহনকারী মাঝারি মানের দুইটি হেলিকপ্টার ওই  ইউনিটে সংযোজন করা হবে। ওই তিনটি বাহন সব সময় তেজগাঁও বিমানবন্দরে প্রস্তুত থাকবে। পুলিশ তার প্রয়োজন মতো সেটি যখন ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারবে। ওটি সংযোজন হওয়ার পর ওই ইউনিটের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন পুলিশের ডিসি মর্যাদার একজন কর্মকর্তা। এছাড়াও ওই বিভাগে দক্ষ একজন এডিসি এবং একজন এসিকে নিয়োগ দেয়া হবে। তাদের অধীনে ৩ জন এসআই এবং ২ জন এএসআই কাজ করবেন। কার্গো বিমান এবং হেলিকপ্টার চালানোর জন্য আপাতত অন্য কোনো বাহিনীর পাইলটকে নিয়োগ দেয়া হবে। পরে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ একাধিক জনকে পাইলটের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে ওই বাহন চালানোর ব্যবস্থা করবে। হেলিকপ্টার  থেকে অপরাধীর স্থান চিহ্নিতের জন্য ওই পাইলটকে আইটিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে বিটিআরসি’র সহযোগিতা চাওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এমন একটি ইউনিট গঠন হলে পুলিশের মধ্যে কাজের গতি আসবে। একস্থান থেকে আরেকস্থানে দ্রুত যাওয়া যাবে। আইজিপিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দেশের বিভিন্নস্থানের থানা ও অন্যান্য ফাঁড়িগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন।  দেশের দুর্গম এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে অথবা দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রান্ত ঘটনাস্থল তাৎক্ষণিক তারা পরিদর্শন করতে পারবেন। অথবা রিজার্ভ পুলিশের সদস্যদের সেখানে পাঠাতে পারবেন। এতে অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন ঘটবে। পুলিশ বাহিনীর মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *