লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুশফিকুর রহমান (১৯) খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার জেলার আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ত্রিমৌহনী সেতু বাজার এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মুশফিক লালমনিরহাট সরকারি কলেজে লেখাপড়া করেন। তাঁর বাবার নাম মোজাম্মেল হক। তিনি জেলার ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রাতে একটি মোটরসাইকেল যোগে মুশফিকসহ তিন যুবক আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ত্রিমৌহনী সেতু বাজার এলাকায় এসে ঘোরাঘুরি করছিল। একপর্যায়ে মুশফিকের আর্ত চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দীপঙ্কর রায় রাতে প্রথম আলোকে বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মুশফিককে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বুকে ও পেটে জখম রয়েছে।