ঢাকা; পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
বিমাবন্দরের সামনের সড়কে জড়ো হয়ে দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। তবে বিমান বন্দরের ভিতরে প্রবেশে পুলিশের ব্যারিকেড সৃষ্টির সমালোচনা করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজকীয় অতিথি হিসেবে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদিআরব যান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে লন্ডন থেকে তার সাথে যোগ দেন বড় ছেলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
প্রায় একবছর পর পরিবারের প্রায় সব সদস্যদের সাথে একত্রে ১৫ দিন সময় কাটান খালেদা জিয়া। মদিনা থেকে আবার একই ফ্লাইটে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ অন্যরা দুবাই পর্যন্ত আসেন। সেখানে দুই ঘণ্টা যত্রাবিরতে শেষে তারেক রহমান যান লন্ডনে, অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন সফরসঙ্গীদের নিয়ে দেশে পৌঁছান। ভিআইপি লাউঞ্জে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য সায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছেন, বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপাসনকে বহনকারী বিমান শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমাবন্দরে অবতরণ করে। ৫টা ২৫ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গুলশানের বাসায় চলে আসেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে দুপুরের পর থেকেই বিমানবন্দরের সামনের সড়কে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো হন। সিনিয়র নেতাদের কাউকেই বিমানবন্দরের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সড়কে দাঁড়িয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল কাইয়ুম, মজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নুরে আরা সাফা, শামা ওবায়েদ, শিরিন সুলতানা, আমিনুল হক, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কাদের গনি চৌধুরী, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন, জয়নাল আবেদিন মেজবাহ, হাবিবুর রহমান হাবিব, শফিউল বারী বাবু, চৌধুরী আবদুল্লাহ ফারুক, নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের রাজীব আহসান, আকুরামুল হাসান, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা ইউনুস মৃধা, আতিকুল ইসলাম মতিন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, এ জিএম শামসুল হক, মীর হোসেন মিরু, জয়নাল আবেদিন রতন চেয়ারম্যান, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, আলী আকবর আলী, আব্দুস সালাম সরকার, আনম সাইফুল ইসলাম, এক এম মোয়াজ্জেম হোসেন, হারুন অর রশীদ হারুন, দেলোয়ার হোসেন দুলু, হাজী মতিন, সাঈদুর রহমান সাঈদ, জুম্মন মিয়া, এসআই টুটুল, আলী আহমেদ রাজু, মাহবুব মাওলা হিমেল, আশরাফুল রহিম, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ঢাকা জেলার ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক, কৃষক দলের শাহজাহান মিয়া সম্রাট, তাঁতী দলের জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুসহ কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানায়।
বিমান বন্দরের গোল চত্বর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত সড়কের বাম পাশে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খালেদা জিয়াকে করতালি ও শ্লোগান দিয়ে স্বাগত জানায়। এ সময়ে খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
গাড়িবহর বিমান বন্দর থেকে গুলশানের দিকে যাওয়ার সময়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাসায় পৌঁছেন খালেদা জিয়া। বাসায় এসময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ।
বিমান বন্দরের প্রবেশ পথে পুলিশের ব্যারিকেড সৃষ্টির সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তার নেত্রীকে দেশবাসী চিনে, সরকারও চিনে, তারপরও সরকার আজকে যেভাবে বাধা দিয়েছে, এটা কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। আমরা কখনো সরকারের কাছ থেকে সন্মানজনক ব্যবহার পাইনি, এটা দুঃখজনক।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার, আলোকচিত্রী নুরুদ্দিন আহমেদ, গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমসহ অন্যান্য সফরসঙ্গিরাও হজ করে একই বিমানে দেশে ফিরেছেন।