আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লে. কর্নেল রাশিদুল হাসান বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীরের কাছে দুপুর ১২টার দিকে ছয়টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনজন এবং আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের নয়জন প্রতিনিধি ছিলেন।
পাঁচ জঙ্গি হলো রোহান ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর এ হায়াৎ কবীর, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম পায়েল।
গত ১ জুলাই গুলশান ২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় কয়েকজন বন্দুকধারী ঢুকে দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। রাতভর জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশি, ৩ জন বাংলাদেশি ও পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও রেস্তোরাঁর এক কর্মী নিহত হয়। এরপর থেকে এ ছয়টি মরদেহ সিএমএইচে ছিল।
মাস খানেক পর পাঁচ জঙ্গি ও রেস্তোরাঁর ওই কর্মীর অভিভাবকদের দেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আবেদন না করায় তা আঞ্জুমান মুফিদুলের মাধ্যমে দাফন করা হলো।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছয়টি মরদেহ জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।