গাজীপুর অফিস; সরকারীভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর এখন একটি চোরাই সিন্ডিকেট রাতের অন্ধকারে গ্যাস সংযোগ পুনঃসংযোগ করে দিচ্ছেন। প্রতিটি রাইজারের সংযোগ দিতে ২ হাজার টাকা করে ফি নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেট রাতরাতি টাকার পাহাড় গড়ে তুলছেন বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর ও বাঘেরবাজার এলাকায় শতাধিক বিচ্ছিন্ন করা রাইজারের পুনঃসংযোগ দেয়া হয়েছে। এই সকল সংযোগের জন্য প্র্রতিটি রাইজার মালিকের নিকট থেকে ২হাজার টাকা করে ফি নেয়া হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে ম্যানেজ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই সিন্ডিকেট রাইজার প্রতি ২ হাজার টাকা করে নিচেছন। বর্তমানে আরো কয়েকশত রাইজার পুনঃসংযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।
গোপন অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যমতে, রাজেন্দ্রপুর এলাকায় জনৈক ব্যাক্তি প্রতিটি রাইজার সংযোগ দেয়ার জন্য ওই সিন্ডিকেট থেকে ২৫০ টাকা করে পারিশ্রমিক নেন।
তিনি জানান, এই পর্যন্ত তিনি ১০০ রাইজারে পুনঃসংযোগ দিয়েছেন। তবে তিনি মাত্র ৩ হাজার টাকা পেয়েছেন। বকেয়া পরিশোধ হলে আবারও তিনি রাইজারের সংযোগ দেয়ার কাজে যাবেন। তার দীর্ঘজবানীতে অসংখ্য দালালের নামও উঠে এসেছে।
জানা গেছে, পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় কিছু দালাল সরকারী নির্দেশ অমান্য করে যারা গ্যাস ব্যবহার করছেন তাদেরকে ভয় ভীতি হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করছেন। ঈদের পূর্বে একাধিক ব্যাক্তিকে কথিত গ্রেফতার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই চক্র।
সূত্র বলছে, তিতাস গ্যাসের কিছু অসাধু কর্মচারী, স্থানীয় দালাল, কতিপয় অসাধু পুলিশ, কতিপয় সাংবাদিক ও আরো কিছু অনাকাংখিত মুখোশধারী ভদ্রলোক মিলে একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে। এই সিন্ডিকেট নীরিহ মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারে সহযোগিতা করেন। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন। পরে আবারও অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করতে রাইজারে পুনঃসংযোগ স্থাপনের কাজটিও তারাই করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, চান্দনা চৌরাস্তা থেকে মাওনা পর্যন্ত ওই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। জমি দখল, চাঁদাবাজি, ঝুট ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকান্ড সহ স্পর্শকতার অপরাধের সঙ্গে এরা জড়িত। বিভিন্ন সরকারের আমলে এরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে গোপন লিঁয়াজো করে অবাধে অপরাধ করে বেড়ায়।
আগামীকাল পড়ুন বাকী অংশ