বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার দাবি করে বলেন, বেলা সোয়া তিনটার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির সন্ধান পাওয়া গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল আহসান বলেন, এমএল ছোট আকারের লঞ্চটি বানারীপাড়া থেকে প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে উজিরপুর উপজেলার হারতার দিকে যাচ্ছিল। পথে দাসেরহাট ঘাটে যাত্রী নামাতে গিয়ে তীরের কাছাকাছি ডুবে যায়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, নদীর ভাঙন ও স্রোতের টানে লঞ্চটি ডুবে যায়। নদী থেকে দুই নারীর মরদেহ এবং জীবিত পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ অনেকে। পরে বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ও ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে যোগ দেন।
তীরে ওঠা পাঁচজনের একজন আলেয়া বেগম জানান, বানারীপাড়া থেকে স্বামীর সঙ্গে তিনি লঞ্চে ওঠেন। দাসেরহাটে ঘাটে ভিড়তে গিয়ে নদীর পাড়ের একটি বড় অংশ ভেঙে পড়ে। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। তবে তিনি সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও স্বামী এখনো নিখোঁজ।
বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস এবং ডুবুরিরা অংশ নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌবাহিনীকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ অব্যাহত আছে।