ডেস্ক রিপোর্ট: গাড়ির ভিতর এক নারী আরেক নারীকে চুম্বনে রত। এ অবস্থায়ই তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে হোন্ডা সিটিতে। কিন্তু তিনি তো তখন বেসামাল। ব্যাস, যা হবার তাই হলো। তিনি নিজেদের গাড়ি উঠিয়ে দিলেন ওলা নামের একটি ট্যাক্সি ক্যাব ও একটি স্কুটারের ওপর দিয়ে। এ ঘটনা ঘটেছে রোববার রাতে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। ওই ক্যাব ও স্কুটারের চালক অভিযোগ করেছেন, ঘটনার সময় এক নারী আরেকজন নারীকে চুম্বনে রত ছিলেন।
তারা দু’জনে বসা ছিলেন পাশাপাশি। এ অবস্থায় তাদের গাড়ি উঠে যায় ক্যাব ও স্কুটারের ওপর। তবে ওই নারীর গাড়ির চালক পুলিশকে বলেছেন, তার মালিক গাড়ির ভিতর থাকা অন্য একজন নারীর চোখে ফুঁ দিচ্ছিলেন। এ নিয়ে মামলা হয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এ নারীর বয়স ৩০ বছর। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার শরীরে এলকোহলের উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করেছে পুলিশ। কিন্তু পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এসেছে। ওলা ট্যাক্সি ক্যাব চালক শেখর রামাচন্দ্রন (৩৫) বলেছেন, রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে সাতটার দিকে একটি গাড়ি গিয়ে তার গাড়িকে পিছন থেকে আঘাত করে। তার ভাষায়, আমি গাড়িতে কি ক্ষতি হয়েছে তা দেখতে নেমে পড়ি। কিন্তু যে গাড়ি আমার গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছে তার কোন আরোহীই নামেন নি। এ সময় স্কুটার চালক ফারহান আহমেদ দৌড়ে আসেন। তিনি শেখরকে বলেন যে, ওই নারী তার স্কুটারকেও ধাক্কা দিয়েছে। এ সময় দেখা যায় চালকের আসনে বসা এক নারী। তিনি তার পাশে বসা আরেকজন নারীকে চুম্বনে রত। তারা আমাদেরকে দেখেও থামেন না। আমাদের গাড়িতে ধাক্কা দেয়ার জন্য তারা অনুতপ্তও হলেন না।
চালকের আসনে বসা নারীকে গাড়ি থেকে নামতে বলেন শেখর। ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি করেন। শেখর বলেন, এ সময় ওই নারী দুর্ঘটনার জন্য আমাকেই দায়ী করেন। বলেন, আমি আস্তে আস্তে গাড়ি চালিয়েছি। তাই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরই ওই নারী তার গাড়িতে উঠে বসেন এবং দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন। কিন্তু ফারহান ও শেখরও ছাড়ার পাত্র নন। তারাও জোরে গাড়ি চালিয়ে তাকে ধরে ফেলেন। তারা খবর দেন পুলিশে।