গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে এবং ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলা চালায় জঙ্গিরা।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এসব হামলার আগে হুন্ডির মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা গ্রহণ করে জঙ্গিরা। এ ছাড়া বিদেশ থেকে অস্ত্রের চালান ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসে। কিন্তু সেই টাকা বাংলাদেশের কেউ বিদেশ থেকে পাঠিয়েছেন, নাকি বাংলাদেশ থেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পাঠানো হয়েছে, সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো ১৪ লাখ টাকা যে গ্রহণ করেছে, তাকে ধরতে অভিযান চলছে।
এ ছাড়া গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় রাজীব গান্ধী ওরফে প্রভাষ নামে আরও একজন জড়িত বলে জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাজীব দুই হামলার ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। এই রাজীবসহ গুলশান হামলার অপারেশনাল কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজান ও আরেক জঙ্গি বাশারুজ্জামান দেশের মধ্যেই আত্মগোপন করে আছে বলে তাঁদের ধারণা। এ ছাড়া তথ্য আছে, হামলার পর খালিদ ও রিপন নামের দুই জঙ্গি ভারতে পালিয়েছে।
পুলিশের অভিযানে জঙ্গিদের শক্তি কমে গেছে জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের অভিযানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ৬০ শতাংশ শক্তি ক্ষয় হয়েছে। তবে মারজান, বাশারুজ্জামান ও রাজীব আত্মগোপন করেছে। যেকোনো সময় তারা আবার সংঘবদ্ধ হতে পারে।