নিউ ইয়র্ক: ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী কখনো ভাবেননি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে এটাই হবে তাঁর শেষ কথা।
নিউ ইয়র্কে গত ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনস্থ ম্যারিয়ট মার্কি হোটেলে প্রবাসীদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর সার্বজনীন নাগরিক
সংবর্ধনা সভায় দু’জনেই একই মঞ্চে পাশাপাশি বসে খোশ গল্পে মেতে উঠেন। এ সময় দু’জনেই হাস্যোজ্বল দেখা যায়। মাত্র দুদিনের মাথায় উল্টে গেল সবকিছু।
ইসলাম ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করে কথা বলার অপরাধে মন্ত্রীসভা থেকে তাঁক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস’র। গত রবিবার বিকেলে নিউ
ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী টাঙ্গাইলব সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ
জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।’লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ
হজে যে কত ম্যানপাওয়ারনষ্ট হয়! হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।’ মন্ত্রী বলেন,‘এভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায়, প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।’ হজ কিভাবে এসেছে তার ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করলেন, এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে? তারা তো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করল যে আমার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়- ইনকামের ব্যবস্থা হবে।’ তাবলিগ জামাতের সমালোচনা করে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘তাবলিগ জামাত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেনকেন? ‘জয় ভাই’ কে? জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নন। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন।’