গ্রাম বাংলা ডেস্ক: মহানবী ও হজ নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের প্রতিবাদে তার ফাঁসির দাবীতে নাটোরে আয়োজিত তৌহিদী জনতার মিছিলে রাবার বুলেট ও গুলি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সি শাহাবুদ্দিন ও এক সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ মিছিল থেকে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোঃ ইউনুস আলীসহ ২০ জনকে আটক করেছে।
প্রত্যদর্শী, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীরা জানায়, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মহানবী ও হজ বিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে শহরের চকরামপুরে তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিল বের হওয়া মাত্র সাবেক শিবির নেতা শামসুল ইসলাম কল্লোলকে পুলিশ আটক করে। এ সময় শিবির কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনার সময় নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সি শাহাবুদ্দিন সামান্য আহত হন। এই ঘটনার ছবি তোলার সময় এক পুলিশ সদস্য খুব কাছে থেকে সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলামের ডান হাতে রাবার বুলেট মারে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। পরে র্যাব ও পুলিশ মিছিল থেকে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোঃ ইউনুস আলী, অফিস সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ সাদেকুর রহমান, জেলা জামায়াতের প্রশিণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ বেলালুজ্জামান, নাটোর শহর আমীর আতিকুল ইসলাম রাসেল, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি ডক্টর মীর নুরুল ইসলাম, নলডাঙ্গা থানা শিবিরের সেক্রেটারী মামুনুর রশীদসহ ২০জনকে আটক করেছে। এ সময় র্যাব ও পুলিশ সাবেক শিবির নেতা শামসুল ইসলাম কল্লোলকে বেধড়ক মারপিট করে। ঘটনার সময় র্যাব ও পুলিশের গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়লে বিােভকারীরা ব্যাপক ভাবে ইটপাটকেল নিপে করে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ রির্পোট লেখার সময় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।
নাটোর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবীতে আয়োজিত তাদের শান্তিপূর্ন মিছিলে পুলিশ নির্বিচারে হামলা করে জেলা আমীরসহ ২০জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এই সরকার পুরোপুরি ইসলাম বিরোধী বলেই এই মিছিলেও হামলা করে গ্রেফতার করেছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার বাসুদেব বণিক জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোঃ ইউনুস আলীসহ ২০ জনকে আটক করার কথা স্বীকার করে বলেছেন, এ ঘটনায় ঠিক কতটি রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে তা হিসেব করে দেখা হচ্ছে।