পাকিস্তানের একটি মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আল জাজিরা। খবরে বলা হয়, আজ জুম্মার নামাজের সময় পায়ি খান গ্রামে ঘটে এই আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা। কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত মোহমন্দ উপজাতীয় এলাকায় অবস্থিত এই গ্রামটি। আফগান সীমান্তে অবস্থিত এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী তালেবানের পাকিস্তানি অংশের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে আসছে। মোহমন্দ এজেন্সির যুগ্ম প্রশাসক নাভিদ আকবর রয়টার্সকে বলেন, ‘জনাকীর্ণ মসজিদে হামলাকারী প্রবেশ করে। ‘আল্লাহু আকবর’ বলে সে চিৎকার করে ওঠে এবং এরপরই বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে।’ তিনি জানান, বোমা বিস্ফোরণের পর মসজিদের একটি অংশ ধ্বসে পড়লে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, ‘বোমার আঘাতে মসজিদের একটি অংশ ও বারান্দা মুসল্লীদের ওপর ধ্বসে পড়ে।’ এখনও পর্যন্ত মসজিদের ধ্বংসস্তুপ থেকে মুসল্লীদের মৃতদেহ ও আহত মুসল্লীদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলে জানান তিনি। অন্য একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, জুম্মার নামাজের প্রস্তুতি চলছিল। তখনই আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে।’ কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, এই আত্মঘাতী হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এই আত্মঘাতী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের এমন হামলার ফলে পাকিস্তান সরকার দেশ থেকে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার প্রত্যয়কে থামিয়ে দিতে পারবে না।’
এই হামলার দায় এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে পাকিস্তানের অসমতল এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই আল কায়েদা, তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর অভয়ারণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তারাই এই হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ হাজি সুবহানুল্লাহ মোহাম্মদ বলেন, কিছুদিন আগেই স্থানীয় আদিবাসীরা একটি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী গঠন করে একজন জঙ্গিকে হত্যা করে এবং একজনকে আটক করে। এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
এই হামলার দায় এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে পাকিস্তানের অসমতল এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই আল কায়েদা, তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর অভয়ারণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তারাই এই হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ হাজি সুবহানুল্লাহ মোহাম্মদ বলেন, কিছুদিন আগেই স্থানীয় আদিবাসীরা একটি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী গঠন করে একজন জঙ্গিকে হত্যা করে এবং একজনকে আটক করে। এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।