ঢাকা; বরযাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল মাইক্রোবাসটি। ভেতরে বরের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই ভাই। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের আট যাত্রী নিহত হলেন। এর মধ্যে বরসহ তিন ভাইও আছেন। এই তিনটি ভাই-ই ছিলেন তাঁরা। আনন্দের হুলুস্থুলের বদলে বিয়েবাড়িজুড়ে এখন কান্নার রোল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শশই এলাকায় আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চারজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন একজন মারা যান। হতাহত ব্যক্তিরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। বরসহ বরযাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাসটি সিলেট থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। এনা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসছিল।
দুর্ঘটনায় বর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রুপশপুর গ্রামের আবু সুফিয়ান (২৫), তাঁর মামা হাজি আবদুল হান্নান (৬৫), বরের দুই ভাই কামরান (২০) ও ফয়ছল (২৩), বরযাত্রী মুর্শেদ (২৫), হাবিবুল (২২), আলী হোসেন (২৫) ও মুক্তার মিয়া (৪২) নিহত হন। বরেরা তিন ভাই। তিনজনই এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
তিন ছেলে ও স্বজনদের দুর্ঘটনার খবরে বিয়েবাড়ির আনন্দ এখন কান্নায় রূপ নিয়েছে। বরের রুপশপুর গ্রামের বাড়িতে এখন মাতম চলছে।
নিহত হাজি আবদুল হান্নানের স্বজন ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহামদ মিনার বলেন, শুধু কান্না ছাড়া আর কিছু নেই।