ঢাকা; রাজধানীর ইস্কাটন থেকে মগবাজার ওয়্যারলেস গেইট ফ্লাই ওভারটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আজ সকালে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন। এটি এক কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সেতু যা আলোচিত মগবাজার-মৌচাক ফ্লাই ওভার প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশ।
এর আগে গত মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রমনা থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত ফ্লইওভারের প্রথমাংশ উদ্বোধন করেন। ইস্কাটন-মৌচাক অংশের উদ্বোধনকালে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ফ্লাইওভার উদ্বোধন করে দিয়েছেন। আমরা এর সাইডগুলো উদ্বোধন করছি। আমি যে অংশটার উদ্বোধন করলাম সেটার দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটার। অন্য অংশগুলো আগামী বছর জুন-জুলাইয়ের মধ্যে উদ্বোধন করতে সক্ষম হব। আশা করি ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়ে গেলে তা যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখাবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে এলজিআরডি সচিব আব্দুল মালেক, প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয় এই ফ্লাইওভারের। দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরে তিন দফায় সময় বাড়িয়ে এখন ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি প্রকল্পের ব্যয়ও প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। পুরো প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে চার লেনের ফ্লাইওভারটি। এটি তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তা), বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত। ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এটির নির্মাণ কাজ করছে।