প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্ত, বৃহত্তর বরিশাল থেকে : টঙ্গির ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেডের কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে সিকিউরিট ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীরের পরিবার জানে না তিনি আর বেঁচে নেই। ঈদে বাড়ির উদ্দেশে শনিবার সন্ধ্যায় তার লঞ্চে ওঠার কথা ছিল। সে অনুযায়ী আজ রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ি পৌঁছানোর কথা। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে টঙ্গির ট্যাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানায় বয়লার বিস্ফারণে সৃষ্ট আগুনে ২৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন। এ নিউজ লেখা পর্যন্ত আহত অন্তত ৩৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের এক প্রতিবেশী কামাল মিয়া জানান, ঢাকা থেকে জাহাঙ্গীরের আত্মীয়রা জানিয়েছেন তিনি বেঁচে নেই, কিন্তু পরিবারকে সেকথা জানানো হয়নি। তিনি জানান, ভোলা শহরের মুসলিমপাড়ায় তাদের বাড়ি। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক জাহাঙ্গীর আলম কয়েকবছর আগে এ করাখানায় সিকিউরিট ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। তার স্ত্রী নিলুফার বেগম ছাড়াও রয়েছেন দুই ছেলে নাদিম (১৮), নাহিম (১৪) ও এক মেয়ে নিপা (২৪)। তারা জানেন না জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শুধু বলা হয়েছে বিস্ফোরণে তার একটি হাত উড়ে গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিকালে তার স্ত্রী নিলুফার বলেন, ঢাকা থেকে তার এক আত্বীয় জানিয়েছেন ফ্যাক্টরিতে বয়লার বিস্ফোরণে তার একটি হাত উড়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বিস্ফোরণে নিহত ২৩ জনের মধ্যে রয়েছে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার পশ্চিম ফুলঝুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মামুন(৪০)। তার আত্মীয় সগীর হোসেন জানান, ‘তার শ্যালক আল মামুনেরা পাঁচ ভাই ও দুই বোন। গত ১০ বছর ধরে তিনি কারখানাটিতে অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন। এ কয়েকদিনে তিনি টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকায় সামান্য জায়গা কিনে বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এবার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের কথা ছিল। ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া কিংবা নিজের বাড়ি করা কোনোটাই হলো না মামুনের।