ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
আজ শনিবার সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে তীব্র যানজট দেখা গেছে। যানজটের মূল কারণ হচ্ছে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনা আর বাস ট্রাক বিকল হওয়াসহ অভার টেকিং। তবে যানজট ঠেকাতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণও মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছেন।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, যানজটের কারণ হচ্ছে, টাঙ্গাইল, জামালপুর ও শেরপুর জেলার যানবাহন ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের ২২টি জেলার যানবাহন এখন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যাতায়াত করছে। বিশেষ কোরবানী পশুবাহী ট্রাকের চাপ ব্যাপক বেড়ে গেছে। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত এই ৭০ কিলোমিটার মহাসড়ক এখন যানজটে স্থবির হয়ে পরেছে। এক দিকে তীব্র যানজট, অপর দিকে প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে যানজটে আটকে পরা শিশু, বৃদ্ধ, নারীসহ সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ শিকার হতে হচ্ছে। এই যানজট এখন চন্দ্রা-গাজীপুর-চেরৈাস্তা এবং চন্দ্রা-নবীনগর ও সাভার এলাকায় ছড়িয়ে পরেছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, গার্মেন্টস ও অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যানবাহনের চাপ ব্যাপক বেড়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনা এবং গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় যানজট হচ্ছে। যানজট নিরসন করার জন্য হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশ, জেলা ও থানা পুলিশ, র্যাব, আনসার, জেলা প্রশাসন ও এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন কাজ করে যাচ্ছে।