রাজশাহী; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবন থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্ষের দরজা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই শিক্ষিকার শয়নকক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট এবং একটি কীটনাশকের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন বিভাগের একজন সিনিয়র শিক্ষক। তিনি জানান, সুইসাইড নোটে শিক্ষিকা আকতার জাহান উল্লেখ করেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শারীরিক ও মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আমি এই পথ বেছে নিলাম।’ জুবেরী ভবনের কর্মচারীরা সাংবাদিকদের জানান, কয়েকদিন থেকে ওই শিক্ষককে কেউ বাইরে দেখেনি। শুক্রবার দুপুরে শিক্ষকের ছেলে অন্য শিক্ষকদের মুঠোফোনে জানান যে, সে তার মাকে মুঠোফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর বিষয়টি অন্য শিক্ষকেরা জানার পর জুবেরী ভবনে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, পুলিশ ও বিভাগের শিক্ষকেরা গিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরের ভেতরে মশারির মধ্যে ওই শিক্ষককের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মুখের দুইপাশ দিয়ে লালা পরছিল। তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক আকতার জাহান জলি শিক্ষার্থীদের কাছে খুব প্রিয় ছিলেন। তার প্রাক্তন স্বামী তানভীর আহমেদও একই বিভাগের শিক্ষক। ২০১২ সালে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর কিছুদিন আগে থেকে শিক্ষক কোয়ার্টার ছেড়ে তিনি জুবেরী ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষে ওঠেন। পরে ২০১৬ সালে তানভীর আহমেদ ওই বিভাগের আরেকজন শিক্ষককে বিয়ে করেন। কিন্তু আকতার জাহান জুবেরীতে একাই থাকতেন। তাদের একমাত্র ছেলে আইমান সোয়াদ নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার প্যারামাউন্ট স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। গত ৩ মাস আগে সে রাজশাহী (শিক্ষক কোয়াটার) ছেড়ে ঢাকায় নানা-নানীর বাসায় গিয়ে ওঠেছে। সেখানেই পড়াশোনা করছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মামুন আব্দুল কাইয়ুম মানবজমিনকে জানান, আকতার জাহানের ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পেয়ে ছেলে সোয়াদ ঢাকা থেকে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা তার কক্ষে যান।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মামুন আব্দুল কাইয়ুম মানবজমিনকে জানান, আকতার জাহানের ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পেয়ে ছেলে সোয়াদ ঢাকা থেকে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা তার কক্ষে যান।