আফতাবনগর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ১৬ লাখ টাকা দাম চাওয়া গরুটি ছাড়াও হাটে অনেক বড় বড় গরু আনা হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম প্রতিষ্ঠান এসব গরু হাটে তুলেছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ থেকে ব্যাপারীরা বেশ বড়সড় গরু বাজারে এনেছেন। রাজধানীর অন্যান্য গরুর হাট থেকে আফতাবনগর হাট একেবারই আলাদা। রাস্তার দুই ধারে আছে কাশবন। মাঝখানে গাছের সারি। রাস্তার দুই ধারে সারিবদ্ধভাবে গরু রাখা হয়েছে।
আফতাবনগর গরু হাটের সার্বিক সহযোগিতায় থাকা এস এম তোফাজ্জল হোসেন দাবি করেন, রাজধানীর সবচেয়ে বড় হাট এটি। এই হাটে প্রতিবছর ৫০ হাজার গরু আসে। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার গরু এসেছে। গরু কম হওয়ার কারণে ব্যাপারীরা এখন পর্যন্ত বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। এমনকি বাজারে ভারতীয় গরু আসেনি তেমন। শেষ পর্যন্ত গরু যদি হাটে না আসে, তাহলে এবার গরুর বাজার চড়া হবে।
ঠিক একই কথা বলছেন কুষ্টিয়া থেকে ৩৫টি গরু নিয়ে হাটে আসা ব্যাপারী আকবর হোসেন। তাঁর দাবি, তিনি গতবারও এই হাটে গরু তুলেছিলেন। ঈদের তিন দিন বাকি রয়েছে। এমন সময়ে পুরো বাজার কানায় কানায় ভরে যায়। গত বারের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ গরু বাজারে এসেছে। এমন অবস্থা থাকলে গরুর দাম বেশি পড়বে।
সকালের দিকে আফতাবনগর গরুর হাটে ক্রেতা ছিল না বললেই চলে। তবে দুপুরের দিকে ক্রেতার আনাগোনা ছিল বেশ। আফতাবনগর গরুর হাটের তথ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. উজ্জ্বল বলেন, এখনো কেনাবেচা তেমন শুরু হয়নি। আজ বিকেল থেকে বেচাকেনা শুরু হবে। অন্যবারের তুলনায় হাটে গরু কম এসেছে।