আজ সোমবার এ হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওবায়দুল এ তথ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করে।
ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীব ১৬৪ ধারায় আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ওবায়দুল।
রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়াকে গত ২৪ আগস্ট ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে রমনা থানায় ওবায়দুলকে আসামি করে মামলা করেন সুরাইয়ার মা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট সুরাইয়া মারা যায়। গত বুধবার সকালে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় বাজার থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনে পুলিশ। ওবায়দুলকে গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার করার পর রমনা থানার ওসি বলেন, হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হাতিরপুল বাজার থেকে ১৩০ টাকা দিয়ে একটি ছুরি কেনেন ওবায়দুল। এরপর তিনি ছুরি নিয়ে স্কুলের সামনে যান এবং সুরাইয়া পদচারী-সেতু দিয়ে সড়ক পার হওয়ার সময় তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পালানোর সময় কাকরাইলের রাজস্ব ভবনের পাশে ছুরিটি ফেলে দেন।