ঢাকা: ব্রেক্সিট পরবর্তীতে মুক্ত বাণিজ্যে বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে বৃটেন। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে তিনি এমন কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য স্কটসম্যান। এতে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র হিঙ্কলে পয়েন্ট নির্মাণ বিলম্বিত করার কারণে চীন বেশ ক্ষুব্ধ। ওই প্রকল্পে বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ করার কথা চীনের। কিন্তু বৃটিশ সরকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে ওই প্রকল্পটি মুলতবি করেছে। তা নিয়ে চীনে উদ্বেগ, ক্ষোভ রয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যে চীন সফরে গিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তিনি বৃটেন-চীনের সম্পর্ককে ‘স্বর্ণালী যুগ’ বলে অভিহিত করেছেন। উল্লেখ্য, এ সম্পর্ককে এর আগে এমন উপাধি দিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং। তিনি এ বছর আরো আগের দিকে চীন সফরে গিয়ে দু’দেশের সম্পর্ককে ‘স্বর্ণালী যুগের’ সূচনা বলে আখ্যায়িত করেন। তার সেই কথারই যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেলো তেরেসা মের কণ্ঠে। তিনি চীনের উদ্দেশে যাত্রার আগে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বলেন, জি-২০ সম্মেলনে আমাদের বার্তা হলো বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বৃটেন। বৃটেন একটি বলিষ্ঠ, আস্থাশীল ও বহির্মুখী দেশ। আমরা বিশ্বমঞ্চে মূল ভূমিকা পালন করার জন্য কাজ করবো। চীনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তিনি বলেছেন, এটা হলো বৃটেন-চীনের জন্য স্বর্ণালী যুগ। আমি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট সি’র সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করবো কিভাবে আমরা অংশীদারিত্ব বিষয়ক কৌশলের উন্নয়ন ঘটাতে পারি তা নিয়ে। আমি বিশ্বের অন্য নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করবো। তাদের কাছে তুলে ধরবো কিভাবে আমরা সারাবিশ্বে মুক্ত বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারি। মুক্ত বাণিজ্যের এসব সুবিধা পেতে চায় বৃটেন। তেরেসা মে বলেছেন, আমার প্রত্যাশা হলো মুক্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে বৃটেন। জি-২০ সম্মেলনে তার আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে। সেখানে তেরেসা বলার চেষ্টা করবেন, নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের ভাল জায়গা এখনো বৃটেন। কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে তিনি বসলেও হিঙ্কলি পয়েন্ট বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে সেখানে কোনো আলোচনা করবেন বলে মনে হচ্ছে না। দু’দিনের এ সম্মেলন শেষে সি জিনপিংয়ের সঙ্গে আগামীকাল সোমবার তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনেই তেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মুখোমুখি হবেন। ধারণা করা হচ্ছে, গোঁয়াড় মস্কোর সঙ্গে তিনি ভাল কোন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন। এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেও বাণিজ্যিক সুবিধার বিষয়টি প্রাধন্য পাবে।