দেশের বড় মসজিদগুলোর নিরাপত্তা বাড়ছে

Slider বাংলার সুখবর

th

 

ঢাকা: সারা দেশের বড় মসজিদগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ঢাকা মহানগরীর বড় বড় মসজিদগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। দেশের শীর্ষ এক গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দেয়া আরেক চিঠিতে দেশের সব মসজিদগুলোর কমিটিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর কেনার নির্দেশনা দেয়া হবে। গেল মাসের শেষদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১লা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ও ৭ই জুলাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গিদের হামলা সারা দেশে জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এর আগে চট্টগ্রামে নৌ-বাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালে জঙ্গিদের বোমা হামলার নজির রয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠী মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে হামলার মাধ্যমে বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণা পাওয়াসহ বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত। প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে জঙ্গিদের কর্তৃক মসজিদে বোমা হামলার মাধ্যমে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঢাকা মহানগরীর বড় বড় মসজিদসহ সারা দেশের বড় মসজিদগুলোর নিরাপত্তার প্রতি সতর্ক নজরদারি রাখা প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব মসজিদে সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জুমার নামাজসহ নিয়মিত নামাজ আদায় করেন ওই সব মসজিদগুলোতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক। এতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর রমনা থানাধীন সার্কিট হাউজ জামে মসজিদ ও রমনা থানা জামে মসজিদে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের সময় সরকারের মন্ত্রিপরিষদের ২০/২৫ জন সদস্য, বিচারপতি, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ কয়েক হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করে থাকেন। কয়েক জন বিচারপতি প্রতিদিন নিয়মিত মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করেন। মসজিদ দু’টির কোনোটিতেই আর্চওয়ে গেট নেই। সার্কিট হাউজ মসজিদে আটটি সিসি ক্যামেরা থাকলেও ক্যামেরাগুলো ঠিকমতো কাজ করে না। জুমার দিন ডিএমপি পুলিশের মাধ্যমে হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও নিরাপত্তার দিক দিয়ে তা যথেষ্ট নয়।
বিশেষ প্রতিবেদনে সুপারিশ আকারে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর বড় বড় মসজিদগুলোসহ সারা দেশের বড় মসজিদগুলোর সার্বিক নিরাপত্তার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। ঢাকা মহানগরীর সার্কিট হাউজ জামে মসজিদ ও রমনা থানা জামে মসজিদে সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জুমার নামাজ এবং ওয়াক্তীয় নামাজ নিয়মিত আদায় করেন। এ কারণে মসজিদ দুটির প্রবেশ পথে আর্চওয়ে গেট স্থাপন ও হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশিপূর্বক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। মসজিদ দুটিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ক্ষেত্রে মসজিদ কমিটিকে বলা যেতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হবে। বিষয়টির এখন প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *