স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কাশিমপুর কারাগার ফটক থেকে: আজ রাতেই কার্যকর হচ্ছে ১৯৭১ সালের মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসি। জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় যে সকল নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে মীর কাসেম আলী শীর্ষ স্থাণীয়দের শেষ একজন।
মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রথম সারির নেতাদের শেষ ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে সরকারও যথেষ্ট সতর্ক ও সচেতন রয়েছে। ইতোমধ্যে কারাগার এলাকায় সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।
প্রস্তুতি বলছে আজ রাতেই যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর হচ্ছে। ফাঁসির রায় নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে কারাগার এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর সারাদেশে পুলিশকে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে ৪ প্লাটুন বিজিবি। কারাগারে যাতায়াত সুশৃঙ্খল রাখতে কারাফটকের সামনের রাস্তার দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ কারাগারে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া কারা অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারাগারে আসছেন। কোন ফাঁসি কার্যকরের নিয়ম অনুসারে কারাগারে জলকামানও মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কাশিমপুর কারাগারে এই প্রথম কোন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে বিধায় বিগত সময়ের যে কোন ফাঁসির প্রস্তুতি থেকে আজকের প্রস্তুতি একটু বেশী। জানা গেছে, কাসেম আলীর ফাঁসি হওয়ার পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার চালায় দাফন করা হবে।