ঢাকা: শীতাতপ নিয়ংন্ত্রণযন্ত্রের (এসি) কমপ্রেসর বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ফাহিম শিকদার নামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর মারা যায় ২৮ আগস্ট।
একই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাতির পর আজ শুক্রবার সকালে দাদীও মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মো. বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওয়ারী থানার ওসি মো. জিহাদ হোসেন জানান, পুরান ঢাকার ওয়ারীর অ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী ফয়সাল শিকদারের ছেলে ফাহিম শিকদার। এলাকার টিপু সুলতান রোডের চার তলা এক বাড়ির তৃতীয় তলায় তাদের বাসা। সেখানেই গত ২৭ অগাস্ট ভোরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র বিস্ফোরিত হয়ে দগ্ধ হন দাদী-নাতি। ওই দুর্ঘটনায় ফাহিমের বাবা ও তার আরেক ভাই সামান্য আহত হন। গত ২৮ অগাস্ট নাতি ফাহিম শিকদারের মৃত্যু হয় ঢাকা মেডিকেলে।
চিকিৎসক পার্থ শংকর জানান তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় শরীরের ৩৭ শতাংশ পুড়ে যায় ৬৫ বছর বয়সী দাদী পারুল আক্তারের। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।