রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলার ঘটনায় নুরুল ইসলাম মারজানসহ আরো অন্তত ১০ জঙ্গিকে খুঁজছে পুলিশ। এরা বিভিন্ন ভাবে এই দুই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছে। তার মধ্যে তামিম চৌধুরী ইতিমধ্যে নিহত হয়েছে। এসব কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান। মনিরুল ইসলাম জানান, চিহ্নিতদের মধ্যে মারজান অন্যতম। সে মাদরাসায় পড়াশোনা করেছে। ছোটকাল থেকে আরবিতে বেশ পারদর্শী। পাশাপাশি সে ইংরেজিতেও কথা বলতে পারে ভালো। যা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা বলেছে। মারজান গুলশান হামলায় পরিকল্পনা, হামলার পর ছবি সংগ্রহ, তা বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো, বিভিন্নজনকে তথ্য আদান-প্রদানের কাজ করেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে মারজান নব্য জেএমবির অন্যতম নেতা। তিনি আরো জানান, গত এক বছর আগে নব্য জেএমবির সন্ধান মেলে। তখন থেকে তামিমের নাম আসে। গুলশান হামলার পর তার সংশ্লিষ্টতা বেড়িয়ে আসে। এরপর কল্যাণপুর আস্তানার সন্ধানের পর তামিমের ব্যাপারে আরো নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপরই তাকে গ্রেপ্তারে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হাসনাত করিম এবং তাহমিদ হাসিব খানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, দুইজনকে দুই দফায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা আমরা যাচাই-বাছাই করছি। উদ্ধারকৃত বিভিন্ন আলামত ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেয়ে আরো তদন্ত করা হবে। কেননা গুলশান-শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলার ঘটনা দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ জন্য অনেক সাবধানের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, আমরা জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে কাজ করছি। যেভাবে দেশের মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছি, তাতে করে খুব শিগগিরই আমরা জঙ্গিদের নিশ্চিহ্ন করতে পারবো।