ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ থেকে শুরু হচ্ছে। বিক্রি চলবে ২রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আজ সোমবার বিক্রি হবে ৭ই সেপ্টেম্বরের টিকিট। একজন সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। বিক্রীত টিকিট পৃষ্ঠা ২০ কলাম ৪
ফেরত নেয়া হবে না। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এবার ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন ৪৩ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে। আরো ২০ শতাংশ অতিরিক্ত স্ট্যান্ডিং (দাঁড়ানো) টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। টিকিট বিক্রির বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ট্রেনের ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য ৩০শে আগস্ট বিক্রি হবে ৮ই সেপ্টেম্বরের টিকিট। ৩১শে আগস্ট বিক্রি হবে ৯ই সেপ্টেম্বরের টিকিট। ১লা সেপ্টেম্বর পাওয়া যাবে ১০ই সেপ্টেম্বরের টিকিট। আর ২রা সেপ্টেম্বর মিলবে ১১ই সেপ্টেম্বরে বাড়ি ফেরার টিকিট। অপরদিকে, ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে ৫ই সেপ্টেম্বর থেকে। ওই দিন ১৪ই সেপ্টেম্বর ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে। রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় এই টিকিট বিক্রি হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী। ৬ই সেপ্টেম্বর মিলবে ১৫ই সেপ্টেম্বরের ফিরতি টিকিট। ৭ই সেপ্টেম্বরে মিলবে ১৬ই সেপ্টেম্বরের টিকিট। আর ৮ই সেপ্টেম্বর পাওয়া যাবে ১৭ই সেপ্টেম্বরের ফিরতি ট্রেন টিকিট। ৯ই সেপ্টেম্বর পাওয়া যাবে ১৮ই সেপ্টেম্বরের টিকিট।
ঈদে মোট ১১৪৬টি যাত্রীবাহী কোচ সপ আউট-টার্ন হবে। বিদ্যমান ২০২টি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন)-এর সঙ্গে কারখানায় মেরামত করে অতিরিক্ত ১৮টি ইঞ্জিন সরবরাহ করা হবে মূল বহরে। সবমিলে ২২০টি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে ঈদে। ঈদের পর্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা একজোড়া নতুন বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী। নারীদের জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে থাকবে আলাদা কাউন্টার। মন্ত্রী আরো জানান, কালোবাজারি ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ সকল বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবি এবং র্যাব-এর সহযোগিতায় টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া, জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। রেল সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়ে থাকে। গত বছর ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এবার আরো বেশি টিকিট বিক্রির চিন্তা-ভাবনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। ঈদে বিশেষ সাত জোড়া ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করবে। সূত্র জানায়, সবক’টি ট্রেন মিলিয়ে তাপানুকূল (এসি) আসন ও বার্থ (শুয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা) আছে মাত্র এক হাজার ৮০২টি। এর মধ্যে মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) ও ই-টিকিটের জন্য কিছু বরাদ্দ থাকে। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি) ও রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫ শতাংশ বরাদ্দ থাকে। সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, রেলের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বাসের অগ্রিম টিকিট ২৩শে আগস্ট থেকে বিক্রির দ্বিতীয় দিনের মাথায় শেষ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।