বলিভিয়ায় বিক্ষোভকারী খনিশ্রমিকেরা দেশটির উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপহরণ করে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে সরকার।
বলিভিয়া সরকারের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপমন্ত্রী রডোলফো ইলেনস এবং তাঁর দেহরক্ষীকে রাজধানী লা পাজের দক্ষিণে পান্ডুরোতে বিক্ষোভকারীদের সড়ক অবরোধের স্থান থেকে অপহরণ করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস রোমেরো বলেন, পারিপার্শ্বিক সূত্র থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়ে ইলেনসকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় দুজন শ্রমিক গুলিতে মারা যান।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেইমি ফেরেইরাকে উদ্ধৃত করে দেশটির লা রাজন সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ইলেনসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। যদিও সরকারি কর্তৃপক্ষ তাঁর লাশ খুঁজে পায়নি। এ ঘটনায় ১০০ জনের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ফেরেইরা আরও বলেন, ইলেনসের মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস গভীরভাবে শোকাহত।
বলিভিয়া সরকারের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপমন্ত্রী রডোলফো ইলেনস এবং তাঁর দেহরক্ষীকে রাজধানী লা পাজের দক্ষিণে পান্ডুরোতে বিক্ষোভকারীদের সড়ক অবরোধের স্থান থেকে অপহরণ করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস রোমেরো বলেন, পারিপার্শ্বিক সূত্র থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়ে ইলেনসকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় দুজন শ্রমিক গুলিতে মারা যান।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেইমি ফেরেইরাকে উদ্ধৃত করে দেশটির লা রাজন সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ইলেনসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। যদিও সরকারি কর্তৃপক্ষ তাঁর লাশ খুঁজে পায়নি। এ ঘটনায় ১০০ জনের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ফেরেইরা আরও বলেন, ইলেনসের মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস গভীরভাবে শোকাহত।
এর আগে শ্রমিকদের হাতে আটক থাকা অবস্থায় ইলেনস বলিভিয়ার এক রেডিওকে বলেন, তাঁর মুক্তির জন্য সরকার নতুন আইন প্রণয়নের একটি শর্তে শ্রমিকদের সঙ্গে দর-কষাকষি করছে।
গত মঙ্গলবার থেকে পান্ডুরোতে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে বলিভিয়ার খনিশ্রমিকদের সংগঠন দ্য ন্যাশনাল ফেডারেশন অব মাইনিং কো-অপারেটিভস অব বলিভিয়া। এ সংগঠনটি একসময় প্রেসিডেন্ট মোরালেসের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। কিন্তু শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিক্ষোভের ডাক দেয়। বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ এবং বৃহত্তর ইউনিয়ন করার দাবিসহ বিভিন্ন সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ শুরু করে সংগঠনটি।