যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার। ২৪শে আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন প্রেস অফিসের পরিচালক এলিজাবেথ ট্রুডিউ। তিনি বলেছেন, আগামী ২৯শে আগস্ট বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন জন কেরি। এ সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিস্তারিত বিষয়ে ও দীর্ঘদিনের বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরবেন। এলিজাবেথ ট্রুডিউ বলেছেন, এ সফরে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশেষ করে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন যে অংশীদারিত্ব রয়েছে তা শক্তিশালী করার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ ও আগামীকাল ইয়েমেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন সৌদি আরবের সঙ্গে। এ জন্য তিনি এরই মধ্যে জেদ্দায় রয়েছেন। এলিজাবেথ বলেন, এরই মধ্যে আমরা ইয়েমেনের অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগের বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বাকি বিশ্বের সঙ্গেও আলোচনা করছি। এ সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি সব পক্ষের সঙ্গে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এ কাজের প্রতি আমাদের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে। ইয়েমেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমেরিকা সহযোগিতামূলক কাজ করে যেতে প্রস্তুত এবং অব্যাহতভাবে তা করে যাবে। এলিজাবেথ বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৫ থেকে ২৭শে আগস্ট পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের জেনেভা সফর করবেন। সেখানে তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ বিন নাহিয়ানের সঙ্গে সিরিয়া ও লিবিয়া ইস্যুতে কথা বলবেন। এরপরই ২৯শে আগস্ট তিনি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। এখান থেকে একই দিনে তিনি ভারতের নয়াদিল্লিতে যাবেন। সেখানে অবস্থান করবেন ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত। সেখানে ভারত সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। ৩০শে আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি প্রিটজকার সহ-সভাপতি থাকবেন ইউএসএ-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল ডায়ালগে।