বেআইনিভাবে রাস্তায় চলাচলে নিষেধ করায় সিলেটে ৪ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ ঘটনার পর পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পথচারীসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক সহ-সম্পাদকসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার রাতে সিলেটের দরগাহ গেট ও আম্বরখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হজরত শাহজালাল (রহ.) এর উরস উপলক্ষে সোমবার রাতে নগরীর আম্বরখানা-চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। আম্বরখানা পয়েন্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল পুলিশের একটি টহল দল। রাত ১০টার দিকে আম্বরখানা পয়েন্ট দিয়ে চৌহাট্টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢুকতে চান ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ কামাল সুফী। এ সময় পুলিশ তাকে বাধা দেয়। এ সময় মাসুদ কামাল সুফী নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল আফাজ উদ্দিনের ইউনিফরমের কলার ধরে টানাটানি করেন। একই সময়ে মাসুদ কামাল সুফীর সঙ্গে থাকা ১৫-২০ জন ছাত্রলীগ কর্মী পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। হামলার শিকার হয়ে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এসআই শাহীন, এএসআই আজিজ, ফরহাদ, কনস্টেবল আব্বাস আহত হন। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ শর্টগানের কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ মাসুদ কামাল সুফী ও ছাত্রলীগ কর্মী সাহেদসহ ১০ জনকে আটক করে। এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৩৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতেই নগরীর এসআই শাহীন মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। কোতোয়ালি থানার ওসি সুহেল আহমদ জানান, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক মাসুদ কামাল সুফীসহ ২০ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি মিডিয়া মো. রহমতুল্লাহ জানিয়েছেন, আটককৃতদের এসল্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।