রাজধানীর বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে পুলিশের পদক্ষেপ আইন সম্মত বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশনা) বিধিমালার দুটি ধারা বৈধ ঘোষণা করে একটি পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। আজ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ রায় দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে পুলিশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আইন অনুযায়ী হচ্ছে। তবে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ব্যক্তি যদি তথ্য সংগ্রহের ফরমের কোনো কলাম পূরণ না করেন, তাহলে তাকে বলপ্রয়োগ করা যাবে না। তাহলে ওই ব্যক্তি প্রতিকার চাইতে পারেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, বর্তমানে বিভিন্ন বাসায় ভাড়া নিয়ে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হয়, এ জন্য তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি যৌক্তিক বলে মনে করেন আদালত। এসব তথ্য সংরক্ষণের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করবে। ওই কমিটি যেন ভালোভাবে কাজ করে, সে জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু। রিটকারীদের পক্ষে অংশ নেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক। উল্লেখ্য, গত ৩রা মার্চ মহানগর এলাকায় বাড়ির মালিকদের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। গত ১৩ই মার্চ এ রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে গত ২২ই মার্চ ডিএমপি বিধিমালার দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, এস এম এনামুল হক ও অমিত দাসগুপ্ত। এর আগে গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে বসবাসকারী সব বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াকে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।