ভাঙলো মিলনমেলা। পর্দা নামলো গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের। অনেক অপেক্ষার রিও অলিম্পিক্স এখন অতীত। তবে কোটি মানুষের মনে থেকে যাবে হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার নানা স্মৃতি। অপেক্ষা এখন জাপানের টোকিও’র। ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী কার্নিভালের মাধ্যমেই রিও-অলিম্পিকের সমাপ্তি হলো। উদ্বোধনীর মতো সমাপনী অনুষ্ঠানও হলো বর্ণিল-আলো ঝলমলে। বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান যেমন চোখ জুড়ানো তেমনি মন মাতানো। নানা বৈচিত্র্যে ভরপুর ছিল পুরো অনুষ্ঠান। ২০৬টি দেশের ১১,৩০৩ জন খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণে ১৬ দিনব্যাপী চলা অলিম্পিকের ৩১তম আসর। ছড়িয়ে দিলো ঐক্য, শান্তি, সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতির জয়গান। ২০২০ অলিম্পিকের আয়োজক জাপানের টোকিও নগরী।
ব্রাজিলে অলিম্পিক শুরুর আগে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। অভ্যন্তরীণ উত্তাল রাজনীতির কারণে দেশের একটি শ্রেণি এই আয়োজনের বিরোধী ছিল। ছিল জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা। এ কারণে অনেক খেলোয়াড় রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। এর সঙ্গে যোগ হয় সন্ত্রাসী হামলার ভয়। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে দারুণ একটি অলিম্পিক আয়োজন শেষ করলো ব্রাজিল। ব্রাজিলের প্রতিবাদীরা কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। জিকা ভাইরাস ছড়ানোর কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আর টুকটাক বিশৃঙ্খলা ঘটলেও কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেনি।
উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বেইজিং ও লন্ডনের মতো অতো প্রযুক্তির ব্যবহার হয়তো রিও’তে ছিল না। কিন্তু ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান আর রঙের ছড়াছড়ি সবকিছু ছাপিয়ে রঙিন অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠান স্মরণীয় করে রাখার জন্য মারাকানা স্টেডিয়ামে সব উপকরণ প্রস্তুত ছিল। বর্ণিল আলোকছটায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। ব্রাজিলের কার্নিভাল বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সুপার মডেল ইসাবেল গুলার্তের নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ নৃত্যশিল্পীর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। সেটা দিয়েই বিদায় অনুষ্ঠান হয়। ব্রাজিলের শিল্প-সংস্কৃতি-সংগীত সবই ফুটিয়ে তোলা হয় নিপুণভাবে। ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামের আকাশ যেন এদিন অলিম্পিক বিদায়ের শোকে কেঁদে ওঠে। আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি। কিন্তু সে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ বিদায়ী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। স্বচ্ছ প্লাস্টিকের রেইন কোট গায়ে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়ে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মতো একজন নিজ দেশের পতাকা বহন করেন। তবে সবার হাতে পতাকা ছিল না। এক পতাকার নিচে সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে নিজেদের একতার কথাই জানান দেন। যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা বহন করেন কৃষ্ণাঙ্গ জিমন্যাস্ট সিমোনা বাইলস। চার সোনাজয়ী এ অ্যাথলেটের সঙ্গে ছবি তোলার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বয়সী অ্যাথলেটরা। এতে তৈরি হয় জট। মারাকানার আকাশ কাঁদলেও তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিল না কোনো বিষাদের ছায়া। নাচ-গান আর আনন্দ-কোলাহলে মেতে ওঠেন দর্শকরা। ব্রাজিলের চিরপরিচিত সাম্বা নাচ তো ছিলই। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নরওয়েজিয়ান কিগোও মার্কিন শিল্পী জুলিয়াম মাইকেলস। বিশ্ব মানবতার জয়গান গেয়েই শেষ হয় রিও’র এবারের অলিম্পিক। ২০২০ সালে ফের টোকিওতে দেখা হওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে বিদায় নেয় অলিম্পিক। অলিম্পিকের পতাকা নিতে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জনপ্রিয় ভিডিও কার্টুন ‘মারিও’র সাজ সেজে তিনি স্টেজে গিয়ে সবাইকে অভিনন্দন জানান। আর আগামী আসরের আয়োজক হিসেবে অলিম্পিকের পতাকা গ্রহণ করেন টোকিও’র গভর্নর ইউরিকো কোইকে। সমাপনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি প্রধান থমাস বাখ ব্রাজিলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিশ্বের এ অস্থিরতার মাঝেও। এ আয়োজন বিশ্বকে উদ্বুদ্ধ করেছে আর সকলকে ভাসিয়েছে বাঁধভাঙ্গা আনন্দে। অসাধারণ শহরে হয়ে গেল অসাধারণ এক অলিম্পিক। রিও অলিম্পিক্সে দলগত সাফল্যে শীর্ষ স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। একটি সোনা বেশি পাওয়ায় চীনকে টপকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে গ্রেট বৃটেন। নানা নিষেধাজ্ঞার বাধা পেরিয়ে রাশিয়া একেবারে মন্দ করেনি। ছিল চতুর্থ স্থানে। ব্যক্তিগত সাফল্যে নিজেদের চির ভাস্বর করে রেখেছেন জ্যামাইকার দৌড়বিদ উসাইন বোল্ট আর যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু মাইকেল ফেলপস। বোল্ট টানা তিন আসরে তিন ইভেন্টের সোনা ধরে রাখেন। ফেলপস সর্বকালের সবচেয়ে বেশি পদক জেতেন। এছাড়া সিমোনা বাইলস, ফেলিক্স নতুন রেকর্ড গড়েন। দ্রুততম মানবী হন জ্যামাইকার এলেইন থম্পসন। মজার ব্যাপার হলো ব্রাজিলকে প্রথম স্বর্ণপদক এনে দেন রিও নগরীতেই জন্ম নেয়া জুডোফা রাফায়েলা সিলভা। তবে ব্রাজিলকে সবচেয়ে বড় স্বস্তি এনে দেয় ফুটবল দলের প্রথম স্বর্ণজয়। সাতটি সোনাসহ ১৯ পদক নিয়ে ১৩তম স্থানে জায়গা হয় স্বাগতিকদের। পরিসংখ্যান বলছে, এ আসরে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে মোট ২৭টি। এ আসরে বাংলাদেশের ৭ জন অ্যাথলেট সুযোগ পেলেও কেউই নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি।
ব্রাজিলে অলিম্পিক শুরুর আগে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। অভ্যন্তরীণ উত্তাল রাজনীতির কারণে দেশের একটি শ্রেণি এই আয়োজনের বিরোধী ছিল। ছিল জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা। এ কারণে অনেক খেলোয়াড় রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। এর সঙ্গে যোগ হয় সন্ত্রাসী হামলার ভয়। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে দারুণ একটি অলিম্পিক আয়োজন শেষ করলো ব্রাজিল। ব্রাজিলের প্রতিবাদীরা কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। জিকা ভাইরাস ছড়ানোর কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আর টুকটাক বিশৃঙ্খলা ঘটলেও কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেনি।
উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বেইজিং ও লন্ডনের মতো অতো প্রযুক্তির ব্যবহার হয়তো রিও’তে ছিল না। কিন্তু ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান আর রঙের ছড়াছড়ি সবকিছু ছাপিয়ে রঙিন অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠান স্মরণীয় করে রাখার জন্য মারাকানা স্টেডিয়ামে সব উপকরণ প্রস্তুত ছিল। বর্ণিল আলোকছটায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। ব্রাজিলের কার্নিভাল বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সুপার মডেল ইসাবেল গুলার্তের নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ নৃত্যশিল্পীর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। সেটা দিয়েই বিদায় অনুষ্ঠান হয়। ব্রাজিলের শিল্প-সংস্কৃতি-সংগীত সবই ফুটিয়ে তোলা হয় নিপুণভাবে। ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামের আকাশ যেন এদিন অলিম্পিক বিদায়ের শোকে কেঁদে ওঠে। আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি। কিন্তু সে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ বিদায়ী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। স্বচ্ছ প্লাস্টিকের রেইন কোট গায়ে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়ে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মতো একজন নিজ দেশের পতাকা বহন করেন। তবে সবার হাতে পতাকা ছিল না। এক পতাকার নিচে সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে নিজেদের একতার কথাই জানান দেন। যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা বহন করেন কৃষ্ণাঙ্গ জিমন্যাস্ট সিমোনা বাইলস। চার সোনাজয়ী এ অ্যাথলেটের সঙ্গে ছবি তোলার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বয়সী অ্যাথলেটরা। এতে তৈরি হয় জট। মারাকানার আকাশ কাঁদলেও তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিল না কোনো বিষাদের ছায়া। নাচ-গান আর আনন্দ-কোলাহলে মেতে ওঠেন দর্শকরা। ব্রাজিলের চিরপরিচিত সাম্বা নাচ তো ছিলই। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নরওয়েজিয়ান কিগোও মার্কিন শিল্পী জুলিয়াম মাইকেলস। বিশ্ব মানবতার জয়গান গেয়েই শেষ হয় রিও’র এবারের অলিম্পিক। ২০২০ সালে ফের টোকিওতে দেখা হওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে বিদায় নেয় অলিম্পিক। অলিম্পিকের পতাকা নিতে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জনপ্রিয় ভিডিও কার্টুন ‘মারিও’র সাজ সেজে তিনি স্টেজে গিয়ে সবাইকে অভিনন্দন জানান। আর আগামী আসরের আয়োজক হিসেবে অলিম্পিকের পতাকা গ্রহণ করেন টোকিও’র গভর্নর ইউরিকো কোইকে। সমাপনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি প্রধান থমাস বাখ ব্রাজিলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিশ্বের এ অস্থিরতার মাঝেও। এ আয়োজন বিশ্বকে উদ্বুদ্ধ করেছে আর সকলকে ভাসিয়েছে বাঁধভাঙ্গা আনন্দে। অসাধারণ শহরে হয়ে গেল অসাধারণ এক অলিম্পিক। রিও অলিম্পিক্সে দলগত সাফল্যে শীর্ষ স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। একটি সোনা বেশি পাওয়ায় চীনকে টপকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে গ্রেট বৃটেন। নানা নিষেধাজ্ঞার বাধা পেরিয়ে রাশিয়া একেবারে মন্দ করেনি। ছিল চতুর্থ স্থানে। ব্যক্তিগত সাফল্যে নিজেদের চির ভাস্বর করে রেখেছেন জ্যামাইকার দৌড়বিদ উসাইন বোল্ট আর যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু মাইকেল ফেলপস। বোল্ট টানা তিন আসরে তিন ইভেন্টের সোনা ধরে রাখেন। ফেলপস সর্বকালের সবচেয়ে বেশি পদক জেতেন। এছাড়া সিমোনা বাইলস, ফেলিক্স নতুন রেকর্ড গড়েন। দ্রুততম মানবী হন জ্যামাইকার এলেইন থম্পসন। মজার ব্যাপার হলো ব্রাজিলকে প্রথম স্বর্ণপদক এনে দেন রিও নগরীতেই জন্ম নেয়া জুডোফা রাফায়েলা সিলভা। তবে ব্রাজিলকে সবচেয়ে বড় স্বস্তি এনে দেয় ফুটবল দলের প্রথম স্বর্ণজয়। সাতটি সোনাসহ ১৯ পদক নিয়ে ১৩তম স্থানে জায়গা হয় স্বাগতিকদের। পরিসংখ্যান বলছে, এ আসরে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে মোট ২৭টি। এ আসরে বাংলাদেশের ৭ জন অ্যাথলেট সুযোগ পেলেও কেউই নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি।