আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থাকব এ বিষয়ে কখনও ভাবিনি। ভেবেছি, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। হত্যার বিচার করতে হবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, পিতার কাছে কথা দিচ্ছি, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাব। আরও আঘাত আসবে। কখনও জঙ্গিবাদ, কখনও সন্ত্রাসবাদ, নানা কিছু আসবে। এগুলো মোকাবিলায় আমার একটাই শক্তি। তা হল, আমি মানুষের জন্য কাজ করছি। আজ বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ই আগস্টের হত্যাকান্ড এবং পরবর্তী সময়ে নিজের শোক, কষ্ট আর দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সব কষ্ট বুকে চেপে রেখেছি। কিন্তু, কোনও দিন কারও কাছে নত হইনি। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে যখন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হই তখন আমি দিল্লিতে ছিলাম। আমার অবর্তমানেই আমাকে সভানেত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। তারপর ১৭ই মে আমি দেশে আসি। সেদিনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, লাখো মানুষ আমার জন্য বৃষ্টিতে ভিজে বিমানবন্দরে গেছেন। লাখো মানুষের মধ্যে আমি আমার হারানো মা-বাবা ভাই বোন কাউকে পাইনি। কিন্তু, বাংলার মানুষের ভালবাসা, সমর্থন আমি পেয়েছি। আওয়ামী লীগের অগণিত কর্মীর সহযোগিতা পেয়েছি। তিনি বলেন, আমি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যেতে চাইলাম। মিলাদ পড়ব। জিয়াউর রহমান আমাকে ঢুকতে দেয়নি। আমার জন্য ৩২ নম্বর ছিল নিষিদ্ধ। আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে মিলাদ পড়ে চলে এলাম। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এখানে ওখানে বাড়ি দিতে চেয়েছে। কিন্তু, খুনির কাছ থেকে কিছু নেয়ার আমার রুচি হয়নি। জিয়াউর রহমান দিল্লিতে ও লন্ডনে আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। কিন্তু, আমি বলেছি খুনির সঙ্গে আমার কোনও সাক্ষাত হবে না।