টঙ্গীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

Slider রাজনীতি

14054133_286042841772075_5666282484456806701_n
মো. পলাশ প্রধান, টঙ্গী (গাজীপুর) থেকে: টঙ্গীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট সোমবার পালিত হয়েছে। জাতীয় শোক দিবসে দিনব্যাপী টঙ্গী প্রেসক্লাব, টঙ্গী থানা প্রেসক্লব, টঙ্গী সাংবাদিক প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করেন। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং গণভোজ।

টঙ্গীতে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম, এসময় উপস্তিত ছিলেন- গাজীপুর মহানগর স্বেচছাসেবকলীগের আহবায়ক মো: মতিউর রহমান মতি, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রজব আলী, টঙ্গী থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ আলম, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ, ৫৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মো. খোরশেদ আলম, ৫৬নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মো. সোহেল মাতাব্বর, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন পাঠান, মো. মোতাহার হোসেন খাঁন মিঠু, টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কাজী মনজুর, সাধারন সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কানন মোল্লা, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. বেলায়েত হোসেন, মো. কবির শাহ্, ছাত্রলীগ নেতা মো. আবু জেহাদ জুয়েল, মো. আমিনুল করিম রানা, ৪৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাখোয়াত হোসেন সুজন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডে নিহতরা হলেন- বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ ছেলে শেখ কামাল, দ্বিতীয় ছেলে তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল, ছোট ছেলে শেখ রাসেল। ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পাননি জাতির জনকের নবপরিণীতা পুত্রবধূ দেশবরেণ্য অ্যাথলেট সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্তা স্ত্রী বেগম আরজু মনিও। নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও তার মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য কৃষক নেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, শিশুপুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুলাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় গতকাল সোমবার টঙ্গীর প্রতিটি ওয়ার্ডসহ মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, টঙ্গী প্রেসক্লাবের আহবায়ক সাংবাদিক নাসির উদ্দিন বুলবুলের সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলেচনা সভা টঙ্গী প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে জাতির জনক শেখ মুজ্বুর রহমানের উপর সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আলোকপাত করা হয়। এসময় আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক নুরুল ইসলাম, টঙ্গী থানা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *