দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জন্মদিনের প্রথম প্রহরে কেক কাটবেন না। একইসঙ্গে জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতাও নেই এবার। দলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন নির্দেশনা না দিলেও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোভাব বিবেচনা করে কোন আয়োজন করেনি বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও চেয়ারপারসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবার বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কেক নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে না যাওয়ার জন্য কয়েকদিন আগেই নির্দেশনা দেয়া হয়। ফলে এবার কোন আয়োজন নেই। তবে খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করে ঘরোয়া পরিসরে দোয়া মাহফিল করতে পারেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ ব্যাপারে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজের থেকে কোন বছরই জন্মদিন পালন করেন না। দলের নেতাকর্মীরাই জন্মদিনের আয়োজন করেন। দেশে বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে, দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী কারাবন্দী এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতিতে চেয়ারপারসনের মনোভাব দেখে এবার জন্মদিন আয়োজনে কারও আগ্রহ নেই। যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দেশে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাগারে বন্দী। অনেক নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে এবার ঘটা করে চেয়ারপারসনের জন্মদিন পালন না করার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেটা সঠিক বলে মনে করি।