যোগ্য ও ত্যাগীদের নতুন কমিটিতে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। তিনি বলেছেন, বিগত সময়ে বিএনপি ধ্বংসে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল নতুন কমিটিতে তারাই গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছে। ত্যাগী ও যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘সাগর-রুনি মিলনায়তনে’ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। হান্নান শাহ বলেন, বিগত দিনে যারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে গালাগালি দিয়েছে, বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছে, এমনকি মান্নান ভূঁঁইয়ার আশপাশে ঘুরঘুর করেছে, তারাই বিএনপির নতুন কমিটিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। যাদের নামে একটি মামলাও নেই, তারাও রয়েছে বিএনপির নতুন কমিটির বিভিন্ন পদে। আর যারা মাঠের রাজনীতিতে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের সবাইকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। এছাড়া কমিটির অধিকাংশ নেতাই অপরিচিত। রাজনীতিতে যাদের কোনো অবদান নেই। বঞ্চিতদের আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত অপেক্ষার ব্যাপারে মহাসচিবের পরামর্শের সঙ্গে দ্বিমত করে হান্নান শাহ বলেন, পদবঞ্চিতদের কাউন্সিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলাটা ঠিক না। কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন ভবিষ্যতে তারা যদি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে তাহলেও কি তাদের কমিটিতে রাখতে হবে? যারা বাদ পড়েছেন সময়ের তাগিদে ষড়যন্ত্রকারীদের বাদ দিয়ে ত্যাগীদের কমিটিতে স্থান দিতে হবে। কমিটি নিয়ে কিছুটা ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিএনপির প্রবীণ এই নেতা বলেন, আশা করি, দলের চেয়ারপারসন দ্রুত এর সমাধান করবেন। বিএনপির কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতিবাচক মন্তব্যের সমালোচনা করে হান্নান শাহ বলেন, বিএনপি তো কাউন্সিল করে কমিটিও ঘোষণা করেছে। আপনারা তো কাউন্সিল আজ নয়, কাল বলে বলে সময় পার করছেন। তাই নিজেদের চেহারাটা একটু আয়নায় দেখেন। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিএনপির রাজনীতিতে আসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যকে ‘মায়াকান্না’ বলে অভিহিত করেন বিএনপির নীতিনির্ধারক ফোরামের এ সদস্য। আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য ইউনুস মৃধা ও ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আবদুল মালেক বক্তব্য দেন।