গ্রাম বাংলা ডেস্ক: খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, হয় আমরা থাকব, নয়ত খালেদা ও রাজাকাররা থাকবে। এখানে মাঝামাঝি থাকার কোনো পথ নাই। তবে খালেদাকে থাকতে হলে যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদ-রাজাকারদের ছেড়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে। নয়ত মীরজাফরদের সঙ্গে তারও কবর হবে। জাতীয় প্রেসক্লাব হলরুমে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ‘এ শোক বহিবার নহে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশতাককে তৃতীয় ও জিয়াউর রহমানকে চতুর্থ মীরজাফর আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের উত্তরসূরি হলো খালেদা। তিনিও তাদের মতো ইতিহাস ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট মোশতাকরা ইতিহাস ধামাচাপা দিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। আর ইতিহাসের মীরজাফর উত্তরসূরি খালেদা ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে এক পাল্লায় মাপবেন না। কারণ, শেখ হাসিনা রাজাকারকে রাজাকার বলেন; আর খালেদা রাজাকারকে ফেরেশতা বলেন।
খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আসতে পাকিস্তানের মতো মানুষ মেরে ফেলার অপকৌশল গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে ইনু বলেন, তার অপকৌশল দেশের মানুষই প্রতিহত করবে।
ইতিহাস বিকৃতকারীদের উদ্দেশ্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, হাতির পিঠে পিঁপড়া আত্মকথা লিখতে পারে, কিন্তু ইতিহাস লিখতে পারে না। বঙ্গবন্ধু হল হাতির সমান, তাকে বাদ দিয়ে ইতিহাস হয় না। মিথ্যার চাদরে বাংলাদেশকে ঢেকে রাখলে গণতন্ত্র হোঁচট খাবে। কিন্তু জনগণ সত্য ইতিহাস চর্চা করেন। তারা জানেন সঠিক ইতিহাস, তাই বিকৃতকারীদের সঙ্গে তারা নেই।
গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সেলিম ওমরাও খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন-সাবেক ডিইউজের সভাপতি ওমর ফারুক ও সংগঠনের সদস্য শাবান মাহমুদ।