এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনই আইএস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে সেই জায়গা থেকে এবারে খানিকটা সরে এলেন তিনি। এবারে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-ই আইএসের ‘প্রতিষ্ঠাতা’। আর এ ক্ষেত্রে ‘সহ-প্রতিষ্ঠাতা’ হিসেবে ওবামার সহযোগী ছিলেন হিলারি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনাম ধরে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই বিতর্কিত মন্তব্য করেই তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। তবে গত কয়েকদিনে প্রতিদিনই কোনো না কোনো লাগামছাড়া মন্তব্য করে চলেছেন তিনি। বুধবার ফ্লোরিডার এক র্যালিতে যেমন তিনি বলছেন, ‘তারা প্রেসিডেন্ট ওবামাকে শ্রদ্ধা করে। সে-ই আইএসের প্রতিষ্ঠাতা।’ আর ওবামার সঙ্গে হিলারির ভূমিকা আইএসের ‘সহ-প্রতিষ্ঠাতা’র। এর পরে বৃহস্পতিবারও ট্রাম্প আইএসের সঙ্গে ওবামা ও হিলারিকে জড়িয়ে করা মন্তব্যে অনড় থেকেছেন। এদিন তিনি বলেন, ওবামা ও হিলারি আইএসের জন্য ‘মোস্ট ভ্যালুয়্যাবল প্লেয়ার’ বা ‘সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়’। ওবামার প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। ওই সময়কার মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির কারণেই আইএসের উৎপত্তি, এমনটা ট্রাম্প আগে থেকেই বলে আসছেন। ওবামা জঙ্গিদের বাড়তে দিয়েছেন, এমন অভিযোগও করেছেন ট্রাম্প। এবারে সরাসরি ওবামাকে আইএসের ‘প্রতিষ্ঠাতা’ আর হিলারিকে ‘সহ-প্রতিষ্ঠাতা’ অভিহিত করে এ প্রসঙ্গে আরও খোলাখুলি নিজের মত ব্যক্ত করলেন তিনি। ট্রাম্পের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে। তবে হিলারির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ট্রাম্প আমেরিকাকে নিয়ে ‘বাজে কথা’ বলছেন। ট্রাম্পের কথায় রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সুরÑ এমনটাও মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের বক্তব্যে লক্ষণীয় বিষয় হলোÑ আরও একবার তার কথায় পুতিন ও আমাদের বিরোধীপক্ষের সুর ধ্বনিত হচ্ছে, যারা আমেরিকার নেতা ও আমেরিকার স্বার্থের বিপক্ষে কথা বলে। বিপরীতে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা বা আমাদের দেশকে আরও নিরাপদ করে তোলার জন্য কোনো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনাই হাজির করতে ব্যর্থ তিনি।’