থাইল্যান্ডের পর্যটক কেন্দ্র হুয়া হিন ও ফুকেটসহ বিভিন্ন স্থানে সিরিজ বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু করে এই সিরিজ হামলাগুলো চালানো হয়। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও সিএনএন। খবরে বলা হয়, গতকাল রাত থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে আটটি বোমা হামলা হয়েছে থাইল্যান্ডে। প্রথম বোমার বিস্ফোরণ ঘটে হুয়া হিন শহরে। রাজধানী ব্যাংককের কাছের এই শহরটিতে ৫০ মিটার দূরত্বের দুইটি গাছের পাত্রে দুইটি বোমা রাখা ছিল। স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে এক ঘণ্টার ব্যবধানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বোমা দুইটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই ঘটনায় এক নারী নিহত হন, আহত হন ১১ জনেরও বেশি। আহতদের বেশিরভাগই ছিলেন বিদেশি পর্যটক। এরপর আজ সকালে দেশটির তিনটি ভিন্ন ভিন্ন শহরেও চালানো হয় জোড়া বোমা হামলা। প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে সুরাট থানি শহরে। প্রথম বোমাটি বিস্ফোরিত হয় স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে, পরেরটি এর আধা ঘণ্টা পর। এতে স্থানীয় মিউনিসিপ্যালের একজন নারী কর্মী নিহত হন। স্থানীয় পুলিশের একজন ক্যাপটেন চাভালিত চানমোরনোই জানান, এই ঘটনায় কমপক্ষে আরও চার জন আহত হয়েছেন। সুরাট থানির দ্বিতীয় বোমাটি বিস্ফোরিত হওয়ার আধা ঘণ্টা পরই জোড়া বোমার বিস্ফোরণ ঘটে আরেক পর্যটন কেন্দ্র ফুকেটে। শহরের পাতং সমুদ্র সৈকত ও সেখানে যাওয়ার পথে বাংলা স্ট্রিটে বোমা দুইটি বিস্ফোরিত হয়। এতে হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। এর কিছুক্ষণ পরই আবার জোড়া বোমার হামলা হয় হুয়া হিনে। শহরের বিখ্যাত ক্লক টাওয়ারের কাছাকাছি এই দুই বোমার বিষ্ফোরণ ঘটে। হুয়া হিনের পুলিশ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্যামোয়ের উসুমরান জানান, কাছাকাছি দূরত্বেই বোমা দুইটি বিস্ফোরিত হয় কিছুক্ষণের ব্যবধানে। তিনি বলেন, ‘আমরা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। বিভিন্ন স্থানে চেক পয়েন্ট বসানো হয়েছে এবং আমরা তল্লাশী চালাচ্ছি।’ এখনও পর্যন্ত সিরিজ এই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো সংগঠন। এই হামলাগুলো পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত কি না, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে গত বছরের ১৭ই আগস্ট থাইল্যান্ডের এরওয়ারা মন্দিরে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল, যাতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হন। ওই হামলার বর্ষপূর্তির কয়েকদিন আগেই দেশটিতে এই সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটলো।