যশোরে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের পলাতক তিন নেতা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা হচ্ছেন, শহরতলীর খোলাডাঙ্গা কদমতলা এলাকার শফিয়ার রহমানের ছেলে সাদ্দাম ইয়াসির সজল (৩২), ধর্মতলা মোড়ের আবদুস সালামের ছেলে রায়হান আহমেদ (২০) এবং খোলাডাঙ্গা কদমতলার এ কে এম শরাফত মিয়ার ছেলে মেহেদি হাসান পাশা (২০)। আতœসমর্পণকারী তিন জন দীর্ঘদিন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। তারা পলাতক জীবন যাপন করতো বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে অভিভাবকরা এই তিনজনকে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনির-উজজামান আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুলিশ জানায়, আতœসমর্পণকারী তিনজনই হিজবুত তাহরীরের নেতা। এদের মধ্যে সাদ্দাম ইয়াসির সজলের পদবি ‘মোশরেক’। বাকি দুইজন ‘শাবাব’ পদবিধারী। ক্যাডারভিত্তিক সংগঠনটিতে মোশরেক অপেক্ষাকৃত উঁচু পদ। শাবাব তার নীচের পদ। সম্প্রতি যশোর পুলিশ যে পাঁচজন জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত বলে ‘নিশ্চিত’ হয়ে নাম-ছবিসহ পোস্টার ছাপে, রায়হান আহমেদ তার অন্যতম। তবে পুলিশের তালিকায় এক নম্বরে থাকা শঙ্করপুরের কামরুজ্জামান তুহিন ওরফে মুন্না যে জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত নন, তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর কারাগার ঘুরে এখন তিনি মুক্ত জীবনযাপন করছেন।